আধুনিক রুশ সামরিক ক্ষেপণাস্ত্র সম্ভার সীমান্তে মোতায়েন শুরু হল। নাম স্টেট অফ দ্য আর্ট এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম। এর প্রথম স্কোয়াড্রন এস-৪০০ ট্রায়াম্ফকে পাঞ্জাব সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। সূত্রের খবর, পরবর্তী স্কোয়াড্রনটি দেশের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তের কোথাউ মোতায়েন হতে পারে। দেশের দুই প্রান্তে ভারতের দুই প্রতিবেশী পাকিস্তান ও চিনের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ রয়েছে। ফলে এই দুই দেশকে নজরে রেখেই দেশের দুই প্রান্তে রুশ এস-৪০০ ট্রায়াম্ফকে মোতায়েন বলে খবর।
সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তান সীমান্ত ঘেঁসা পাঞ্জাবে পাঁচটি বায়ু সেনা ঘাঁটি রয়েছে। এর মধ্যেই একটিতে মোতায়েন হয়েছে এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ। ২০১৮ সালে কেনা পাঁচটি স্কোয়াড্রনের অংশ এটি। এই সিস্টেমটি ইতিমধ্যেই চিনের কাছে রয়েছে। ২০২০ সালে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধের সময় থেকেই এটি সেদেশের সীমানায় মোতায়েন রয়েছে। তার পাল্টা এবার ভারতের তরফে অরুণাচল সীমান্তের বায়ু সেনা ঘাঁটিতে মোতায়ের করা হতে পারে।
রুশ সামরিক ক্ষেপণাস্ত্র সম্ভার সীমান্তে মোতায়ের দরুন ভারতের আকাশ পথে প্রতিরক্ষা আরও পোক্ত হল। এই সিস্টেম ৪০০ কিমি দূর থেকে উড়ে আসা যেকোনও সামরিক সম্ভারকে নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে।
বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত সিস্টেমগুলির মধ্যে অন্যতম এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ। এটি রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ মিসাইল,এমনকী যুদ্ধ বিমানের বিরুদ্ধেও বায়ু প্রতিরোধী পরিমন্ডলকে রক্ষা করতে সক্ষম।
রুশ কর্মকর্তাদের মতে, এই মিসাইলের প্রথম ইউনিটের সরবরাহ নভেম্বরে শুরু হয়েছিল। ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থব্যায় করে এটি কেনা হয়েছে। কিন্তু এই সিস্টেম কিনতে ভারতকে বিস্তর ঝামেলা পোয়াতে হয়েছে। কারণ, রাশিয়ার সঙ্গে বড় প্রতিরক্ষা চুক্তির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা জারির হুমকি দিয়েছিল।
কয়েক সপ্তাহ আগে ভারত সফরে এসেছিলেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সার্গেই লাভরফ। তিনি বলেছিলেন এই চুক্তি, 'ভারতের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে এই চুক্তি বাস্তবসম্মত ও গুরুত্বপূর্ণ। সবকিছু পরিকল্পনামাফিক এগিয়েছে। চুক্তি কার্যকর হচ্ছে। আমরা এই ধরনের সহযোগিতাকে খাটো করা, ভারতের উপর আমেরিকার অস্ত্র ক্রয়ের বিষয়টি চাপিয়ে দেওয়া, এই অঞ্চলের কীভাবে চলবে তার ধারণা তৈরির মার্কিন প্রয়াস লক্ষ্য করছি।' রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সংযোজন ছিল, 'কে তার বন্ধু হবে, কার সঙ্গে কী চুক্তি হবে- সেগুলি সার্বভৌম দেশ হিসাবে স্থির করার দায়িত্বও ভারতের। এ দেশের বন্ধুরা সেটা মনে করে।'
এর আগে রাশিয়ার পেডারেল সার্ভিস ফর মিলিটারি-টেকনিক্যাল কোঅপরেশনের ডিরেক্টর দিমিত্রি শুগায়েভ জানিয়েছিলেন যে, "এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের সরবরাহ নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুযায়ী চলছে।'
Read in English