ভারতীয় সেনার চিনার কর্পসের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম। এক সপ্তাহ ধরে অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ আছে। এনিয়ে ওই দুই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বার্তা পাঠানো হলেও, ঠিকঠাক উত্তর মিলছে না। মঙ্গলবার এমনই অভিযোগ করেছেন কাশ্মীর উপত্যকায় মোতায়েন চিনার কর্পসের এক আধিকারিক। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই সব অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল, সীমান্তপারের অপপ্রচারের জবাব দেওয়ার জন্য। এখন, সেই অ্যাকাউন্টই ব্লক থাকায় ভারত বিরোধী শক্তির হাত পোক্ত হবে বলেই মনে করছেন সেনাকর্তারা।
বিভিন্ন দেশের সামরিক শক্তির টক্কর এখন আর শুধু আর জলে, স্থলে বা আকাশে সীমাবদ্ধ নেই। নেটদুনিয়াতেও পৌঁছে গিয়েছে। বলা ভালো, এই লড়াই এখন উপগ্রহের মাধ্যমেও চলছে। সীমান্তপার থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে কাশ্মীরের যুবকদের উসকানোর চেষ্টা দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল। তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পালটা সাইবার যুদ্ধে নেমেছে ভারতীয় সেনাও। খোলা হয়েছে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট। এতে অনেকটাই কাজ দিয়েছে বলেই মনে করছেন সেনার আধিকারিকরা।
একটা সময় ছিল, যখন কাশ্মীরের যুবকদের দেখা যেত সেনা আর পুলিশের বিরুদ্ধে পথে নেমে পাথর ছুড়তে। জায়গায় জায়গায় বাংকার ছাড়া অন্য কিছু ভাবার অবকাশ ছিল না। সেনাবাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে সংঘর্ষে কোনও জঙ্গির মৃত্যু হলে, তা সীমান্তপারের উসকানিতে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে ওই জঙ্গিকে নায়ক সাজিয়ে ফেলা হত। সেসব, এখন অনেকটাই কমেছে সেনাবাহিনীর তরফে সোশ্যাল মিডিয়ার পালটা প্রচারে। কোনও ঘটনা ঘটলেই ভারতীয় সেনাবাহিনীও সঠিক ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরছে। যা ভেস্তে দিচ্ছে উসকানিমূলক এবং অপপ্রচারের চেষ্টা।
আরও পড়ুন- মুকেশ আম্বানিকে টেক্কা! নতুন রেকর্ড গড়ে এশিয়ার সবচেয়ে ধনী আরেক ভারতীয়
সেই কাজই ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যেতে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো পুনরুদ্ধার করতে চায় চিনার কর্পস। কাশ্মীর উপত্যকায় এই বাহিনী ১৫ কর্পস নামেও পরিচিত। বর্তমানে ফেসবুক এব ইনস্টাগ্রামে চিনার কর্পসের অ্যাকাউন্ট খুললেই একটা বাক্য ভেসে আসছে। তা হল, 'এ লিংক ইউ ফলোড মে বি ব্রোকেন, অর দ্য পেজ মে হ্যাভ বিন রিমুভড'।
এই বার্তা সরিয়ে দ্রুত যাতে অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করা যায়, সেজন্য ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম কর্তাদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেছেন সেনাকর্তারা। এই দুই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মই একই সংস্থার। তবে, এখনও পর্যন্ত বার্তা পাঠিয়ে কোনও কাজই হয়নি। উলটো দিক থেকেও তেমন কোনও সাড়া পাননি সেনাকর্তারা। এমনিতে সোশ্যাল মিডিয়ার আইন ভাঙলে বা কেউ অভিযোগ করলে কোনও অ্যাকাউন্টকে ব্লক করে দেয় মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো। এক্ষেত্রে তেমনটা হয়ে থাকলে, তা সেনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলেই মনে করছেন চিনার কর্পসের আধিকারিকরা।
Read in English