২০১৬-এর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যেমন হয়েছিল, তেমনটা আর হবে না। সে বার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যালয়ে নিজেদের কর্মীদের পাঠিয়েছিল ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনী প্রচার চালানো। তা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। বৃহস্পতিবার সেই প্রসঙ্গেই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিল, নিজেদের মঞ্চে যে হারে রাজনৈতিক নেতাদের প্রচার করা হতো, তা কমিয়ে আনবে তারা।
এর আগে ২০১৬ তে ফেসবুকের বিরুদ্ধে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছিল। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলেছিল, ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকেও তাঁর সমর্থনে প্রচার চালাতে একইরকম সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিল তারা, হিলারিই ততটা সাহায্য নেননি।
আরও পড়ুন, ফেসবুকে মৃত্যু হুমকি ও অকিঞ্চিৎকরের সমাধান প্রয়াস
বিশ্ব জুড়ে রাজনৈতিক প্রচার চালানো নিয়ে নিজেদের অবস্থান এখনও খোলসা করে বলেনি অন্য দুই সোশ্যাল মিডিয়া গুগল এবং টুইটার। ফেসবুকের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁরা নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে রাজনৈতিক প্রচার চালাবে না, তবে কোনো রাজনৈতিক দল যদি চায় ফেসবুক ব্যবহার করে নিজেদের প্রচার চালাতে, তবে ফেসবুকের কর্মীদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারেন।
তবে এর আগে গত এপ্রিলে ভারতে এসে ফেসবুক সিইও মার্ক জুকারবার্গ বলেছিলেন, "ভারতের আসন্ন সব নির্বাচনে ফেসবুকের সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা বজায় রাখতে আমাদের চেষ্টার ত্রুটি থাকবে না। "
মার্চ মাসে প্রায় ৫০ মিলিয়ন গ্রাহকের তথ্য চুরি করে মার্কিন নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠে 'কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা'র বিরুদ্ধে। তথ্য চুরির দায় কার্যত স্বীকার করে নেন জুকারবার্গ। কিন্তু এত বড় চুরি যেন দ্বিতীয়বার না ঘটে, তার জন্য বড়সড় পদক্ষেপ করার আশ্বাসও দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ।