'পাকিস্তান মিথ্যা গল্প ছড়াচ্ছে', ভারত নিজ্জার মামলায় 'গোপন মেমো'র বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। 'দ্য ইন্টারসেপ্ট'-এর রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, উত্তর আমেরিকার শিখ সংগঠনগুলিকে দমিয়ে রাখতে দূতাবাসগুলিকে নির্দেশ পাঠায় ভারত সরকার। গোপন মেমোর মাধ্যমে নাকি সেই নির্দেশ পাঠানো হয়েছিল। এই রিপোর্টকে পুরোপুরি 'ভুয়ো' বলে অভিহিত করেছে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রঅরিন্দম বাগচি। এই নিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) বিদেশ মন্ত্রক হরদীপ সিং নিজ্জারকে নিয়ে প্রকাশিত রিপোর্টকে অস্বীকার করেছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে যে নয়াদিল্লি পশ্চিমী দেশগুলিতে শিখ প্রবাসী সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উত্তর আমেরিকার দূতাবাসকে একটি চিঠি দিয়েছে। 'গোপন মেমো'র মাধ্যমে সেই নির্দেশ পাঠানো হয় বলেই দাবি করেছে দ্য ইন্টারসেপ্ট।
মন্ত্রকের তরফে এই রিপোর্টকে ভুয়ো ও সম্পূর্ণ মিথ্যা আখ্যা দিয়ে বলা হয়েছে, এই ধরনের কোনো মেমো জারি করা হয়নি। এই বিষয়ে, বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচিও এপ্রিল মাসে মিডিয়ার প্রশ্নের উত্তরগুলি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এ শেয়ার করেছেন।
ভারতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার
বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, "এটি ভারতের বিরুদ্ধে ক্রমাগত বিদ্বেষমূলক প্রচারের অংশ। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার তরফে এই ধরণের ভুয়ো খবর প্রচার করা হয়। এর "যারা এই ধরনের ভুয়া খবর প্রচার করে তারা নিজেরাই তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারায়," ।
ইন্টারসেপ্ট রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল যে ভারত ২০২৩ সালের এপ্রিলে একটি গোপন মেমো জারি করেছিল। যাতে কানাডার নাগরিক হরদীপ সিং নিজ্জার সহ অনেক শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তালিকা রয়েছে। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার দুই মাস আগে এই মেমো পাঠানো হয়েছিল।
ভারত ও কানাডার মধ্যে উত্তেজনা
উল্লেখ্য, সম্প্রতি নিজ্জর খুনের ঘটনায় ভারত ও কানাডার মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। এদিকে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার পিছনে ভারত রয়েছে বলে অভিযোগ করলে উভয়ের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক খারাপ হয়। তবে, ভারত এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং আশ্বাস দিয়েছে যে কানাডা প্রমাণ দিলে ভারত তদন্ত প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করবে।
ট্রুডোর অভিযোগের ফলে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সংঘাত চরমে পৌঁছায়। ভারত সাময়িকভাবে কানাডায় তার ভিসা পরিষেবা স্থগিত করে। এর পরে, ভিসা পরিষেবাগুলি আবার শুরু হলেও অটোয়াকে ভারত থেকে প্রায় ৪০ জন কূটনীতিককে প্রত্যাহার করতে হয়।