Z+ নিরাপত্তা, বুলেটপ্রুফ গাড়ি…! পিএমও আধিকারিক হিসাবে ৬ মাস জম্মু ও কাশ্মীর সফর। সরকারি টাকায় দেদার ফূর্তি । হাভেভাবে দেখে যে কেউ তাঁকে দুঁদে আমলা বলে মনে করতে বাধ্য। অবশেষে হাটে হাঁড়ি ভাঙল। পুলিশের জালে ধরা পড়ল কিরণ প্যাটেল নামের এক ব্যক্তি। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ গত ৩রা মার্চ তাকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ তাকে শ্রীনগর আদালতে হাজির করার সময় বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
পিএমও দফতরের আধিকারিক পরিচয় দিয়েও রেহাই মিলল না। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন মোদীরাজ্যেরই এক ব্যক্তি। পুলিশ সূত্রে খবর গ্রেফতার হওয়া ওই ব্যক্তি পিএমও আধিকারিক পরিচয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন একাধিক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। সম্প্রতি তিনি তিনি নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর শ্রীনগরের লাল চকে পৌঁছান। তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের পাঁচ তারকা হোটেলে পিএমও আধিকারিক পরিচয়েই ছিলেন। জেড প্লাস নিরাপত্তা সহ বুলেটপ্রুফ গাড়িতে ঘোরাফেরা করতেন তিনি।
বৃহস্পতিবার জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ ধৃত কিরণ প্যাটেলকে শ্রীনগর আদালতে হাজির করে। আদালত তাকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। পাঠিয়েছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, কিরণ প্যাটেল ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে একাধিকবার কাশ্মীর সফরে গিয়েছিলেন। সফরকালীন সময়ে তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের পাঁচ তারা বিলাসবহুল হোটেলে থাকতেন। জেড প্লাস নিরাপত্তা সহ বুলেটপ্রুফ গাড়িতে ঘোরাফেরা করতেন।
জানা গিয়েছে, কিরণ প্যাটেল নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উচ্চপদস্থ আধিকারিক পরিচয় দিতেন। তিনি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জম্মু ও কাশ্মীর সফর করেন। তার এই সফরের একাধিক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভাইরাল পোস্টে, তাকে বুদগামের দুধপাথরিতে বরফের উপর হাঁটতে দেখা যায়। এছাড়াও তাকে শ্রীনগর ক্লক টাওয়ার এবং উরিতে এলওসি-র কাছে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে পোজ দিতে দেখা যায়। পাশাপাশি তিনি কাশ্মীর পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকও করেছেন। পরে সন্দেহ হওয়ার গোয়েন্দা সংস্থাগুলি জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশকে তার সম্পর্কে সতর্ক করে। এরপর তাকে শ্রীনগরের হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয়।
ধৃতের বিরুদ্ধে IPC-এর 419, 420, 467, 468 এবং 471 এর অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে । জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। এদিকে যথাসময়ে চিহ্নিত করতে না পারায় জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের দুই অফিসারের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানা গিয়েছে। গুজরাট পুলিশের একটি দলও তদন্তে চালাচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।