জানুয়ারি মাসের শেষের তিন দিনে কোভিড টেস্টে জালিয়াতির বিতর্ক বাড়ল। তিনটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৫৮৮ জন বাসিন্দার উপর কোভিড পরীক্ষা করা হয়েছিল। কিন্তু পরীক্ষার রিপোর্টে সবাইকেই নেগেটিভ দেখানো হয়েছে। এই ঘটনা ঘটেছে বিহারের জামুই জেলায়। জেলায় করোনার সংক্রমণ কমেছে, এই বিষয়টিকে তুলে ধরতেই ভুয়ো নাম ও ফোন নম্বর দিয়ে করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট পাঠান হয় পাটনার মূল স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেই রিপোর্ট তদন্ত করেই এমনটা জানতে পারে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জামুই, শেখপুরা এবং পাটনাতে ছয়টি পিএইচসি পরিদর্শন করে। ১৬, ১৮ এবং ২৫ জানুয়ারীর মধ্যে যে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে তা খতিয়েও দেখে। জামুইতে তিনটি পিএইচসি-তে ৫৮৮টি করোনা পরীক্ষার সন্ধান পাওয়া যায়। যেখানে সব রিপোর্ট নেগেটিভ। এর পরই সেখানকার বিভিন্ন কর্মীদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথাও বলা হয়। হাতে আসে ভুয়ো নথি। যেখানে নাম থেকে ফোন নাম্বার সবটাই মিথ্যে। করোনার দৈনিক পরীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্যই এই কাজ করা হয়েছিল, এমনটাই মানছে অনেকে।
টেস্টিং কিট থেকে অন্য উপায়ে লাভ তোলার অভিযোগও উঠছে তদন্তে। অবশেষে তদন্তে যা পাওয়া গেল তা হল-
জামুইয়ের বারহাটের ২৩০টি পরীক্ষার মধ্যে কেবল ১২টি আসল পরীক্ষা করা হয়েছে। জেলার সিকান্দারা পিএইচসিতে ২০৮টির মধ্যে কেবল ৪৩টি পরীক্ষা সঠিক ভাবে করা হয়েছে। জামুইতে ১৫০টি পরীক্ষার মধ্যে ৬৫টি রেকর্ড রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, বারহাটে আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় প্রাপ্ত ২৬ জনের জন্য কেবলমাত্র একটি মোবাইল নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে। যে ফোন নাম্বারটি ওই এলাকা থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরের বাঁকের শম্ভুগঞ্জের বাজু রাজাকের। রাজাক বলেন, "এই লোকগুলির কারও সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগ নেই, আমার পরিবারের কেউ কোভিডের জন্য পরীক্ষা করেনি।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন