দুই পরিবারের অনুমতি সত্ত্বেও আইনের দোহাই দিয়ে ভিন্ন ধর্মে বিয়ে আটকানোর চেষ্টা যোগীর পুলিশের। ঘটনা উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের পারা এলাকার দুদা কলোনির। এক হিন্দু সংগঠনের তরফে অভিযোগ পেয়েই বিয়ের দিনই অনুষ্ঠান বাড়িতে হাজির হয় পুলিশ। পাত্র ও কন্যা পক্ষকে থানায় যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
ঘটনা বুধবারের। হিন্দু পাত্রীর সঙ্গে মুসলমান পাত্রের বিয়ে আসরের তখন বাকি আর মাত্র কয়েক ঘন্টা। বিয়ে বাড়িজুড়ে অতিথি-অ্ভায়গতদের ভিড়। সেই সময়ই হঠাৎ বিয়ের বাড়ি বাড়িতে হাজির হয় পারা থানার পুলিশ। এরপর তারা উত্তরপ্রদেশে পাশ হওয়া নতুন আইন সম্পর্কে সকলকে জানিয়ে বলে, দু’পক্ষকেই থানায় যেতে হবে। পাত্র এবং কন্যা পক্ষকে এই বিয়ের জন্য জেলা শাসকের থেকে অনুমতি নেওয়ার কথা জানানো হয়।
উত্তরপ্রদেশের নতুন আইন অনুসারে লখনউ জেলা শাসকের থেকে অনুমতি নেওয়ার পরই ভিন ধর্মে বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়া সম্ভব।
পারা থানার এসএইচও ত্রিলোকি সিংয়ের কথায়, 'হিন্দু রীতিতেই বিয়ে হচ্ছিল। হিন্দু পাত্রী ও মুসলমান বর পক্ষ জেলাশাসকের অনুমতি নিতে রাজি হয়েছেন। এক্ষেত্রে উভয় পরিবারের সম্মতি ছিল। জবরদস্তি করা হয়নি।' তাহলে কেন বিবাহ আসরে উপস্থিত হল পুলিশ? জবাবে ত্রিলোকি সিং বলেন, 'হিন্দু সংগঠনের তরফে অভিযোগ এসেছিল। নতুন ধর্মান্তকরণ আইন অনুসারে সময় জানিয়ে জেলাশাসকের অনুমতির ভিত্তিতে ভিন ধর্মে বিয়ে সম্ভব। তবে আবারও বলছি এক্ষেত্রে জোর করে কোনও কিছু করা হয়নি।'
নির্দিষ্ট এই বিয়েতে পাত্র নাকি পাত্রী- কার ধর্ম বদল হচ্ছে? জানতে চাইলে পুলিশ আধিকারিক বলেছেন, 'এইসব পরের বিষয়। তবে পাত্র-পাত্রী জানিয়েছে তারা এই বিয়ে করতে চায়। হিন্দু রীতিতেই বিয়ে হচ্ছিল। পাত্র হিন্দু হওয়ার কথা জানিয়েছে।'
লখনউ-য়ের ডিসিপি (দক্ষিণ) রবি কুমার বলেছেন, 'আইনজীবীদের উপস্থিতেই নতুন আইন সম্পর্কে পাত্র-পাত্রী ও তাঁদের পরিবারকে সচেতন করা হয়। বলা হয়, জেলা শাসকের কাছে লিখিত অনুমতির আর্জি ও তা অনুমোদন ক্রমেই এই বিয়ে হতে পারে। যা তাঁরা মেনে নিয়েছেন।'
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন