Farm Laws: শুক্রবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে কৃষি বিল প্রত্যাহোরের সিদ্ধান্ত জানান প্রধানমন্ত্রী। যদিও এখনই কৃষক আন্দোলনে ইতি টানতে নারাজ কৃষক সংগঠনগুলো। সংসদে কেন্দ্রের অবস্থানের উপর নজর রেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এমনটাই সংযুক্ত কৃষক মোর্চা সূত্রে খবর। এই পরিস্থিতিতে ফের ফেরত আসতে পারে কৃষি আইন। এমন ইঙ্গিত দিয়ে আশা-আশঙ্কার দোলাচল বাড়ালেন বিজেপি সাংসদ।
উন্নাওয়ের বিজেপি সাংসদ সাক্ষী মহারাজ রবিবার বলেন, ‘বিল তৈরি হয়, প্রত্যাহার হয়, ফের ফেরত আসে, আবার বিল তৈরি করা হয়। এটা সময়ের খেলা।‘ আর সাংসদের এই মন্তব্য ঘিরেই শুরু জোর তরজা। বিরোধীদের প্রশ্ন, ‘তাহলে কী ৫ রাজ্যের ভোটের জন্য সাময়িক প্রত্যাহার কড়া হয়েছে কৃষি বিল?’ যদিও কেন্দ্র সূত্রে অদূর ভবিষ্যতেও কৃষি বিল ফের ফিরিয়ে আনার কোনও ইঙ্গিত নেই। সাউথ ব্লকে কান পাতলে এই চর্চা শোনা গিয়েছে।
তবে শুধু উপরের মন্তব্য করে থামেননি সাক্ষী মহারাজ। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘প্রধানমন্ত্রী বড় মনের পরিচয় দিয়েছেন। উনি আইনের আগে দেশকে প্রাধান্য দিয়েছেন। যারা ক্রমাগত সমালোচনা করে গিয়েছেন, পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান তুলেছেন, তাঁদের যোগ্য জবাব দিয়েছেন।‘ এমনকি, কৃষি বিল প্রত্যাহারের সঙ্গে উত্তর প্রদেশ ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই। এই দাবি করে বিজেপি সাংসদ বলেছেন, ‘আগামি ভোটে উত্তর প্রদেশে বিজেপি ৩০০-র বেশি আসন পাবেই। এর কোনও অন্যথা হবে না। কারণ নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগীজির কোনও বিকল্প তৈরি হয়নি।‘
এদিকে, শুধু সাক্ষী মহারাজ নয়, কৃষি বিলের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিতর্ক বাড়িয়েছেন কলরাজ মিশ্র। রাজস্থানের রাজ্যপালও ভবিষ্যতে এই বিল ফিরিয়ে আনার ইঙ্গিত দেন। আর এই মন্তব্যগুলোকে হাতিয়ার করে সরব সমাজবাদী পার্টি। দলের তরফে ট্যুইট, ‘বোঝাই গেল বিজেপির মন পরিষ্কার নয়। ভোটের পরে ফের এই বিল ফিরিয়ে আনা হতে পারে। সংসদীয় পদে বসে থাকা ব্যক্তি এবং বিজেপি সাংসদের মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট কেন্দ্রের অবস্থান।‘
অপরদিকে সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে সিলমোহর বসতে পারে। তবে ২৭ নভেম্বর পূর্ব ঘোষণা মতোই লখনৌয়ে কৃষক মহাসম্মেলন আয়োজন করবে সংযুক্ত কৃষক মোর্চা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন