তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকদের বিদ্রোহের সুর ক্রমশ চড়ছে,এমন আবহে চাঞ্চল্য়কর মন্তব্য় করলেন কেন্দ্রীয় খাদ্য়মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। এটা আর কৃষক বিক্ষোভ নেই, এতে বামপন্থী ও মাওবাদীর সব উপাদান ঢুকে পড়েছে, শনিবার এমন মন্তব্য়ই করেছেন গোয়েল। তবে, এর বিরুদ্ধে সরকার কোনও ব্য়বস্থা নেবে কিনা, সে ব্য়াপারে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি মন্ত্রী।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় খাদ্য় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেছেন, ‘‘আমরা এখন বুঝতে পারছি যে, তথাকথিত কৃষক বিক্ষোভ নামমাত্র কৃষক বিক্ষোভ রয়েছে। এতে বামপন্থী ও মাওবাদীর উপাদান ঢুকে পড়েছে। গত ২ দিন ধরে দেখা যাচ্ছে, যাঁরা দেশ বিরোধী ও অনৈতিক কার্যকলাপে বন্দি, তাঁদের মুক্তির দাবি তোলা হচ্ছে। কৃষকদের মঞ্চে দাবি তোলা হচ্ছে...’’।
অন্য়দিকে, তিন কৃষি আইন প্রসঙ্গে গোয়েল বলেন, এই আইনের ফলে দেশের প্রায় ১০০ মিলিয়ন কৃষক উপকৃত হবেন।
আরও পড়ুন: ‘কৃষকদের সহায়তা করতে অঙ্গীকারবদ্ধ সরকার’, বিদ্রোহের আবহে ফের বার্তা মোদীর
এদিকে, কৃষক বিদ্রোহের (Farmers protest) আবহে আবারও আশ্বস্ত করতে আসরে নামলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(PM Modi)। কৃষকদের সাহায্য় করতে তাঁর সরকার বদ্ধপরিকর, শনিবার এমন বার্তাই দিয়েছেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, নয়া কৃষি আইনগুলো কৃষকদের নয়া বাজার দেবে এবং কৃষিক্ষেত্রে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও প্রযুক্তিতে সহায়তা করবে।
উল্লেখ্য়,কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে বারংবার আলোচনার টেবিলে বসলেও জট কাটছে না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকও নিষ্ফলা হয়। তারপরই লিখিত আকারে কৃষকদের খসড়া প্রস্তাব পাঠায় সরকার। যা পত্রপাঠ খারিজ করে দেন কৃষকরা। তিন ‘বিতর্কিত’ কৃষি আইনকে চ্য়ালেঞ্জ জানিয়ে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন