প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সুবিধা পেতে পাঁচ বছর আগেই আবেদন করেছিলেন গুজরাটের সত্তরোর্ধ্ব। কিন্তু পঞ্চায়েতে দীর্ঘদিন ধরে যেতে যেতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। টানা পাঁচ বছর গিয়েও অনুমোদন পাননি গুজরাটের গ্রামের এই কৃষক। অগত্যা প্রত্যাখ্যাত হয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন তিনি, পুলিশ এমনটাই জানিয়েছে।
ক্ষোভে-দু:খে পঞ্চায়েত অফিসের সামনেই আত্মহত্যা করেন ওই বৃদ্ধ। এমনকী মৃত্যুর আগে তিনি জরুরি হেল্পলাইন নম্বর ১১২ নম্বরে ফোন করে আত্মঘাতী হওয়ার কারণ জানান তিনি। পঞ্চায়েত উপজেলা অফিসের তৃতীয় তলার সিঁড়ি থেকে চরণ নিজেকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিল। থানার পুলিশ ইনস্পেক্টর জানান যে, পঞ্চায়েত অফিসে তাঁর আবেদনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু জানাননি বা বিশেষভাবে তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী হিসাবে কারও নাম উল্লেখ করেননি। এখন পর্যন্ত আমরা এ বিষয়ে একটি দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছি তবে কেউ যদি দোষী সাব্যস্ত হয় তবে আত্মহত্যার অভিযোগ এনে আইপিসি ধারা ৩০৬ এর অধীনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
মৃত কৃষকের ছেলে রাজেন্দ্র দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছে, "আমি এবং বাবা একসঙ্গে চাষের কাজ করতাম। সম্প্রতি, আর্থিক সঙ্কটের কারণে আমরা আমাদের জমির একটি অংশ বিক্রি করে একটি বাড়ির ব্যবস্থা করতে চাইছিলাম। আমার বাবা গত পাঁচ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় বাড়ি পাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। প্রাপকদের তালিকায় তাঁর নাম অনুমোদিত হয়েছিল কিন্তু তিনি তা কখনই পাননি। তিনি অনলাইনে আবেদন করারও চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু গত পাঁচ-ছয় মাসে কোনও উত্তর পাননি এবং সে কারণেই তিনি পঞ্চায়েত অফিসে আপডেটের জন্য গিয়েছিলেন। ”
জানা গিয়েছে শনিবার পঞ্চায়েত অফিসে যাচ্ছেন বলে চরণ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়, তবে রাত ১২ টার দিকে তার ছেলে বাবার আত্মহত্যা করে মারা যাওয়ার খবর পান।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন