/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/09/Rakesh-Tikait.jpg)
কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত
Farmers Protest: চলতি মাসের ২৬ তারিখের মধ্যে কৃষি আইন নিয়ে একটা সিদ্ধান্তে আসুক কেন্দ্র। সোমবার এভাবেই হুশিয়ারি দিলেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত। প্রায় এক বছর ধরে চলা কৃষক আন্দোলনের অন্যতম আয়োজক সংগঠন ভারতীয় কৃষক ইউনিয়ন। সেই সংগঠনের প্রধান মুখ টিকায়েত।
তিনি বলেন, '২৬ নভেম্বর পর্যন্ত কেন্দ্রের কাছে সময় আছে। তারপরের দিন থেকেই দেশের গ্রাম থেকে কৃষকরা দিল্লি সীমান্তে জমায়েত করা শুরু করবে। আরও সংঘবদ্ধ করা হবে আন্দোলন।'
গাজিপুর সীমান্তের রাস্তা দিল্লি পুলিশ বন্ধ করেছে। সুপ্রিম কোর্টের উদ্দেশে পাল্টা মন্তব্য আন্দোলনরত কৃষকদের। প্রায় এক বছর ধরে কৃষক আন্দোলনের অন্যতম আয়োজক সংস্থা সংযুক্ত কৃষক মোর্চা। সেই সংগঠন বৃহস্পতিবার বলেছে, ‘কৃষকরা নয়, জাতীয় সড়ক ৯ লাগোয়া রাস্তা দিল্লি পুলিশ বন্ধ করেছে। আমরা রাস্তা খুলে দেওয়ার পক্ষপাতী। কোর্টের নির্দেশ মেনে সরিয়ে ফেলেছি কয়েকটি তাঁবুও।‘
এক কৃষকের অভিযোগ, ’দিল্লি পুলিশ আমাদের সঙ্গে নকশালদের মতো আচরণ করছে। আমরা দিল্লি যাব না। তাও দেখুন কীভাবে রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে। আমরা কোর্ট এবং সরকারের অভিযোগ শুনে ক্লান্ত।‘
সুপ্রিম কোর্টের ধমকের পরেই দিল্লি সীমান্ত থেকে ব্যারিকেড সরানো শুরু করল দিল্লি পুলিশ। গাজিপুর এবং টিকরি সীমান্তে বৃহস্পতিবার রাত থেকে এই উদ্যোগ শুরু হয়েছে। ট্রাফিক চলাচলে গতি বাড়াতে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে সব অস্থায়ী ব্যারিকেড। রাস্তা থেকে উপড়ে ফেলা হচ্ছে পেরেক এবং কাঁচ। এমনটাই দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর। দিল্লি পুলিশের ডিসিপি (পূর্ব) প্রিয়াঙ্কা কাশ্যপ বলেন, ‘দিল্লি গাজিপুর সীমান্ত দিয়ে যানবাহনের গতি সচল রাখতে ব্যারিকেড সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।‘
দিল্লি পুলিশের এক কর্তা বলেছেন, ‘উপরমহল থেকে নির্দেশ পেয়েই ব্যারিকেড হটানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিশ্চয় তাঁরা আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন