সরকার কি কৃষকদের দাবি মেনে নেবে? তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে কৃষক নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হতে চলেছে আজ বিকেলেই।
কৃষকদের আন্দোলনের জেরে গত ২ দিন ধরে উত্তপ্ত হয়েছে দিল্লি সীমান্ত। কেন্দ্রের তরফে দফায় দফায় আলোচনা করা হলেও মেলেনি কোন সমাধানসূত্র। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টায় চণ্ডীগড়ে ফের কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে এক বৈঠকের আয়োজন করেছে কেন্দ্র। এই তথ্য জানিয়েছেন পাঞ্জাব কিষাণ মজদুর সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও কৃষক নেতা সারওয়ান সিং পান্ধের।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, 'সরকার আলোচনা করতে চায়। আমরাও আলোচনার জন্য প্রস্তুত'। তিনি বলেন, 'কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে আলোচনার আমন্ত্রণ জানিয়ে একটি চিঠি এসেছে। অনুরাগ ঠাকুরের চিঠি ও ইতিবাচক বক্তব্যের পর তৃতীয় দফা বৈঠকে রাজি হয়েছেন কৃষক নেতারা'।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, নিত্যানন্দ রাই এবং অর্জুন মুন্ডা বৃহস্পতিবার চণ্ডীগড়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বলেই জানা গিয়েছে। পাশাপাশি পঞ্জাব-হরিয়ানা শম্ভু সীমান্তে বিরাজমান পরিস্থিতি স্বাভাবিকের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। কৃষক সংগঠনের তরফে সংবাদ মাধ্যমের সামনে এও জানানো হয়েছে "আমরা সংঘাত চাই না। আমরা চাই বিষয়টির সমাধান হোক। আমরা অনুরাগ ঠাকুরের বক্তব্য সম্পর্কে জানতে পেরেছি। সরকার যদি কথা বলতে চায় তবে আমরাও আলোচনায় আগ্রহী। কিন্তু যে ধরনের 'পুলিশি অ্যাকশন' চলছে তাতে আমাদের মনে হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চায় না"।
কৃষক নেতা ও কেন্দ্রের মধ্যে এটি হবে তৃতীয় দফা বৈঠক। পিটিআইয়ের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং কৃষিমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডাও কৃষকদের সমস্যা সমাধানে দিল্লিতে আলোচনা করেছেন। বিক্ষোভকারী কৃষকরা অন্যান্য ইস্যুগুলির মধ্যে এমএসপি এবং ঋণ মকুবের আইনের দাবি জানিয়েছেন।