বহু বৈঠক-আলোচনাতেও কৃষকদের দমাতে পারেনি কেন্দ্র। তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে অনড় কৃষকরা। তিন সপ্তাহে পড়ল সিংঘু সীমান্তে কৃষকদের অবস্থান। বৈঠকের মাধ্যমে কৃষকদের আন্দোলন থেকে সরাতে না পেরে এবার মাওবাদী-নকশাল তত্ত্ব তুলতে শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। এবার চরম সিদ্ধান্ত নিলেন কৃষকরা। আগামী ১৪ ডিসেম্বর থেকে কৃষক নেতারা অনশনে বসার হুঁশিয়ারি দিলেন।
কৃষক নেতা কানওয়ালপ্রীত সিং পান্নু জানিয়েছেন, সরকার যদি আলোচনা করতে চায় তাহলে আমাদের মূল দাবি মানতে হবে। তিনটি কৃষি আইন বাতিল করতে হবে। দাবি পূরণ নাহলে কোনও কথা নয়। তিনি শনিবার এও জানিয়েছেন, কয়েক হাজার কৃষক রাজস্থানের শাহজাহানপুর থেকে জয়পুর-দিল্লি এক্সপ্রেস হয়ে দিল্লি চলো যাত্রা শুরু করবে রবিবার সকাল ১১টা থেকে। প্রসঙ্গত, এদিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আশ্বস্ত করেছেন, কৃষকদের কল্যাণের জন্য সরকার সদা প্রতিজ্ঞ। এবং এই নয়া আইন কৃষকদের বিকল্প বাজারে ফসল বিক্রি করে আয়ের বৃদ্ধির জন্য সহায়ক হবে।
আরও পড়ুন বিদ্রোহী কৃষকদের ফিট রাখতে সিংঘু-টিকরিতে খোলা হল জিম-মাসাজ সেন্টার
এদিকে, তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকদের বিদ্রোহের সুর ক্রমশ চড়ছে,এমন আবহে চাঞ্চল্য়কর মন্তব্য় করলেন কেন্দ্রীয় খাদ্য়মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। এটা আর কৃষক বিক্ষোভ নেই, এতে বামপন্থী ও মাওবাদীর সব উপাদান ঢুকে পড়েছে, শনিবার এমন মন্তব্য়ই করেছেন গোয়েল। তবে, এর বিরুদ্ধে সরকার কোনও ব্য়বস্থা নেবে কিনা, সে ব্য়াপারে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি মন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় খাদ্য় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেছেন, ‘‘আমরা এখন বুঝতে পারছি যে, তথাকথিত কৃষক বিক্ষোভ নামমাত্র কৃষক বিক্ষোভ রয়েছে। এতে বামপন্থী ও মাওবাদীর উপাদান ঢুকে পড়েছে। গত ২ দিন ধরে দেখা যাচ্ছে, যাঁরা দেশ বিরোধী ও অনৈতিক কার্যকলাপে বন্দি, তাঁদের মুক্তির দাবি তোলা হচ্ছে। কৃষকদের মঞ্চে দাবি তোলা হচ্ছে…’’।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন