Farmers Protest: শেষ পর্যন্ত রাজধানী দিল্লির সীমানা থেকে আন্দোলন প্রত্যাহার করার ঘোষণা করল বিক্ষোভকারী কৃষকদের সংগঠন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য সম্পর্কিত কেন্দ্রীয় কমিটিতে কেন্দ্র ও রাজ্যের আধিকারিকদের সঙ্গেই কৃষক সংগঠনগুলির প্রতিনিধি ও কৃষি বিশেষজ্ঞদের রাখার দাবি তুলেছিল বিক্ষোভকারীরা। এছাড়া, বিতর্কিত কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলাকালীন মৃত কৃষকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং আন্দোলন সম্পর্কিত সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে, এই দাবিও করা হয়। বৃহস্পতিবার কৃষি সচিবের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি প্রস্তাব কিষাণ মোর্চার কাছে পাঠানো হয়। তাতে কৃষকদের দাবি মেটানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি কৃষকদের। এরপর সংযুক্ত কিষান মোর্চার বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের পর আন্দোলন সমাপ্তির ঘোষণা করে কৃষকদের সংগঠন।
তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে গত ১৪ মাস ধরে আন্দোলন করেছেন কৃষকরা। যা ঘিরে বিভিন্ন সময় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর কাছে ক্ষমতা চেয়ে গত মাসসে কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন। পরে সংসদে আইন এনে ওই কৃষি আইন বাতিল করা হয়। কিন্তু নূন্যতম সহায়ক মূল্য, আন্দোলন চলার সময় বিক্ষোভকারীদের উপর থেকে সব মামলা প্রত্যাহার ও আন্দোলনরত অবস্থায় মৃত কৃষকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবি জানানো হয় সংযুক্ত মোর্চার তরফে। কৃষকরা জানান, তাদের দাবি না মানলে দিল্লি সীমানা থেকে থেকে তাদের ধর্না উঠবে না। এদিন কেন্দ্রের প্রতিশ্রুতির পর আন্দোলন প্রত্যাহরের ঘোষণা করেছেন কৃষকরা। আগামী শনিবার থেকে নিজেদের বাড়ি ফিরবেন আন্দোলনকারীরা।
এদিন সকাল থেকেই সিঙ্ঘু সীমানা থেকে সামগ্রী গোছাতে শুরু করেছেন কৃষকদরা। যার থেকে ইঙ্গিত মিলেছিল যে, বৃহস্পতিবারই হয়তো আন্দোলন প্রত্যাহার করবে সংযুক্ত মোর্চা।
যদিও লখিমপুর খেরিকাণ্ডে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনিকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত ও গ্রেফতারির দাবি কেন্দ্রের তরফে মানা হয়নি। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতা বলবীর সিং রাজেওয়াল বলেছেন, 'আগামী ১৫ জানুয়ারি কৃষকদের সংগঠন ফের বৈঠক করবে। কেন্দ্রীয় প্রতিশ্রিতি কতটা কার্যকর হচ্ছে তা পর্যালোচনা করবে।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন