দেশে গণতন্ত্র ভুলুন্ঠিত, চলছে স্বৈরাচারী শাসন। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ফের জোড়দার আন্দোলনের পথে দেশের বিক্ষুব্ধ কৃষকরা। ২৬ জুন সব রাজ্যের রাজভবনের সামনে ধর্না কর্মসূচির ঘোষণা করল সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। কালো কাপড় নিয়ে হবে এই ধর্না। ১৯৭৫ সালের এই দিনেই প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ভারতে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন। যা ইন্দিরাকে অল্প সময়েই স্বৈরাচারী শাসক বলে দেগে দেয়। দেশের বর্তমান অবস্থার সঙ্গে সেই স্বৈর শাসনের মিল তুলে ধরতেই ২৬ জুনই 'জমি বাঁচাও-গণতন্ত্র বাঁচাও' দিবস পালনে উদ্যোগী আন্দোলনকারী কৃষকরা।
কেন্দ্রীয় তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন কৃষকদের একাংশ। মূলত পাঢ্জাব, হরিয়ানা ও পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের কৃষকরাই এই আন্দোলনে সামিল। গত ছয়'মাসেরও বেশি সময় ধরে দিল্লি সীমানায় চলছে ধর্না আন্দোলন। একাধিকবার আন্দোলনকারী কৃষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের আলোচনা হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। দু-পক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড়।
এই অবস্থায় কোভিড সংক্রমণ বাড়তে কিছুটা হলেও চাপা পড়ে যায় কৃষকদের অন্দোলন। কিন্তু সংক্রমণ কমতেই ফের নিজেদের দাবি দাওয়া আদায়ে প্রতিবাদ আন্দোলনের ধার বাড়াতে উদ্য়োগী দিল্লি সীমানায় অবস্থানকারী কৃষকরা। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতা ইন্দ্রজিৎ সিং বলেছেন, 'কৃষকরা একযোগে ২৬ জুন জমি বাঁচাও-গণতন্ত্র বাঁচাও দিবস পালন করবে। প্রতিটি রাজ্যের রাজভবনের সামনে ধর্নায় কালো পতাকা দেখানো হবে। রাষ্ট্রপতিকে স্মারখলিপি দেওয়া হবে।' ধর্নাস্থল হিসাবে কেন রাজভবনকে বেছে নেওয়া হল? কৃষক নেতার দাবি, 'রাজ্যপালরা রাষ্ট্রপতির মনোনিত হয়ে থাকেন। তাই রাজভবনেরপ সামনে ধর্না হবে।'
তিন কেন্দ্রীয় কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য টানাপোড়েন তুঙ্গে পঠতেই মামলা গড়ায় আদালতে। আপাতত পরবর্তী নির্দেশ না মেলা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কৃষি আইন লাগুর উপর স্থগিততাদেশ জারি রয়েছে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন