আজ কৃষক বিক্ষোভের তৃতীয় দিন। পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্তে প্রতিবাদী কৃষক এবং নিরাপত্তা কর্মীদের মধ্যে চলমান অচলাবস্থার মধ্যে, তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর একটি প্রতিনিধি দল আজ আবারও চণ্ডীগড়ে কৃষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। কৃষিমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা, শিল্প- বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় কৃষকদের দাবি দাওয়া নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। এর মধ্যে বিশেষ করে ফসলের জন্য ন্যূনতম সমর্থন মূল্য (এমএসপি) নিশ্চিত করার আইন নিয়ে আলোচনার দাবি জানানো হয়েছে কৃষক সংগঠনের তরফে।
আজ সরকারের সঙ্গে কৃষকদের মধ্যে তৃতীয় দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ৮ এবং ১২ ফেব্রুয়ারি শেষ দুই দফা আলোচনা হলেও তাতে কোন সমাধানসূত্র মেলেনি। কৃষক নেতারা সম্মত হয়েছেন যে কেন্দ্রের সঙ্গে আজকের এও বৈঠক না হওয়া পর্যন্ত তারা দিল্লি যাত্রা স্থগিত রাখবেন। কেন্দ্রের দেওয়া প্রস্তাবের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে।
যদিও দুটি কৃষক সংগঠন আজ পাঞ্জাবে 'রেল রোকো' আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। শম্ভু ও খানৌরি সীমান্তে কাঁদানে গ্যাসের শেল এবং জলকামান ব্যবহারের প্রতিবাদে কৃষকরা দুপুর ১২ টা থেকে বিকাল ৪টে পর্যন্ত সাতটি জায়গায় রেলপথ অবরোধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সুপ্রিম নির্দেশে চরম অস্বস্তিতে মোদী সরকার: < Electoral bonds: ‘অসাংবিধানিক’, নির্বাচনী বন্ড নিয়ে মোদী সরকারকে ভোটের আগেই বিরাট ধাক্কা সুপ্রিম কোর্টের >
কৃষকরা গত দুই দিন ধরে দিল্লিতে প্রবেশের চেষ্টা করে। যদিও পুলিশি তৎপরতায় তা ব্যর্থ হয়েছে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ ব্যারিকেড লাগিয়ে সীমান্ত সিল করে দিয়েছে, যাতে কৃষকদের তাদের ট্রাক্টর-ট্রলি নিয়ে দিল্লিতে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখা যায়।