এক মুখোশধারী ব্যক্তিকে দিল্লির সিঙ্ঘু সীমানা থেকে হাতেনাতে পাকড়াও করল কৃষকরা। অভিযোগ, ২৬ জানুয়ারি দিল্লিতে কৃষকদের র্যালি বানচাল করতে দু’টি দলকে কাজে লাগানো হয়েছে। ওই যবকই সেই দলেরই সদস্য। জেরায় অভিযুক্ত সেই অভিযোগ নাকি স্বীকার করেছেন- দাবি কৃষকদের। শুক্রবার রাতে অভিযুক্তের মুখে মুখোশ পড়িয়ে প্রকাশ্যে হাজির করা হয়। পরে তাকে পুলিশের কাছে পেশ করে আন্দোলনকারী কৃষকরা।
প্রথমে অভিযুক্ত যুবকের দাবি ছিল, এক মহিলার সঙ্গে ছিলেন তিনি। সেই সময়ই তাকে পাকড়াও করে কৃষকরা। ইভটিজিং-য়ের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে তাকে। পরে মিডিয়ার সামনে সে জানায়, দুই মহিলা সহ তাদের দলে ১০ জন রয়েছে। কৃষক আন্দোলনে হিংসা ছড়াতেই তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। হরিয়ানা পুলিশই তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এই কাজে নিয়োগ করেছে বলে দাবি অভিযুক্ত যুবকের। তবে অভিযোগ উড়িয়েছে পুলিশ।
#WATCH | Delhi: Farmers at Singhu border present a person who alleges a plot to shoot four farmer leaders and cause disruption; says there were plans to cause disruption during farmers’ tractor march on Jan 26. pic.twitter.com/FJzikKw2Va
— ANI (@ANI) January 22, 2021
আন্দোলনের মাঝে গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি অভিযুক্তের। পুলিশের বদলে তারা গুলি চালাবে। ফলে, একদিকে, যেমন পুলিশের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ উঠবে না, তেমনই আন্দোলন হিংসাত্মক বলেও দাবি করতে পারবে প্রশান। অভিযুক্ত যুবকের দাবি মতো তেমনই ষড়যন্ত্র করা হয় হরিয়ানা পুলিশের তরফে।
২০১৬ সালে জাট বিক্ষোভের সময় সে একইভাবে হিংসার যড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল বলে দাবি অভইযুক্তের। সম্প্রতি কুর্নুলে লাঠিচার্যেও সে যুক্ত ছিল বলে জানিয়েছে যুবক।
কৃষক আন্দোলন দমানো যাচ্ছে না দেখেই প্রশাসন হিংসা ছড়িয়ে তা তুলতে ষড়যন্ত্র ছক করছে বলে দাবি দিল্লি সীমানায় আন্দোনকারী কৃষকদের। সাংবাদিককের কৃষক নেতৃত্বরা বলেন, ‘২৬ জানুয়ারি ট্রাক্ট ব়্যালিতে হিংসা ছড়াতে যুবকদের বন্দুক সরবরাহ করা হয়েছে। কৃষকরা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে হিংসায় লিপ্ত তা প্রমাণ করতেই এই মরিয়া প্রয়াস প্রশাসনের। প্যারেড চলাকালী জাতীয় পতাকায় হামলাও এদের লক্ষ্য।’ তাঁর আরোও দাবি, ‘অভিযুক্ত চার কৃষক নেতাকে শনাক্ত করেছে। তাঁদের খুন করাই এদের প্রধান কাজ। ২৩ জানুয়ারির পর যেকোনও দিন এই খুন হতে পারে।’
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন