ষষ্ঠ দফার বৈঠকে আশার ইঙ্গিত ছিল। কিন্তু সপ্তম রাউন্ডের আলোচনায় ফের জটিল হয় পরিস্থিতি। নিজ নিজ অবস্থানে অনড় কেন্দ্র ও বিক্ষোভকারী কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এই অবস্থায় আজ ফের বৈঠকে কেন্দ্র-কৃষক ইউনিয়ন প্রতিনিধিরা।
আন্দোলনরত কৃষকরা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন তাঁদের দাবি মেনে কেন্দ্রকে নয়া তিনটি কৃষি আইন বাতিল করতে হবে। কেন্দ্র অবশ্য আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছে, আইন বাতিলের প্রশ্নই ওঠে না। কৃষকদের অন্য যে কোনও প্রস্তাব বিবেচনা করতে রাজি। দু'পক্ষের এই অনড় অবস্থানে আজ অষ্টম দফার বৈঠকে সমাধান সূত্র আদৌ বেরোয় কি না, তা নিয়ে সংশয় থাকছেই।
যদিও এ দিন বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেছেন, 'আশা করব সুস্থ পরিবেশে আলোচনা হবে ও সমাধান সূত্রে মিলবে। ঝামেলা মেটেতা উভয় পক্ষেই পদক্ষেপ করবে বলে মনে করছি।'
এই বৈঠকের আগে কেন্দ্রের উপর আইন বাতিল নিয়ে চাপ বাড়াতে বৃহস্পতিবার দিল্লির রাস্তায় ট্র্যাক্টর র্যালিও করেছেন কৃষকরা। কেন্দ্রের উদ্দেশে আন্দোলনরত কৃষকদের হুঁশিয়ারি, বৃহস্পতিবারের র্যালি ছিল মহড়া মাত্র। দাবি না মানলে ২৬ জানুয়ারি, প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে রাজধানীর রাজপথে তাঁরা ট্র্যাক্টর র্যালি করবেন।
গত বুধবারই কৃষক সংগঠনগুলোর সঙ্গে কেন্দ্রের ষষ্ঠ রাউন্ডের বৈঠক হয়েছিল। সেখানে কৃষকদের চারটির মধ্যে দু’টি দাবি মেনে নেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী। মেনে নেওয়া হয়েছিল কৃষকদের বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল প্রত্যাহার ও ফসলের অবশিষ্ঠাংশ পোড়া নিয়ে এয়ার কোয়ালিটি অর্ডিন্যান্সের কয়েকটি ধারা। তবে, প্রতিবাদী কৃষকদের মূল দু’টি দাবি হচ্ছে নয়া তিন কৃষি আইন বাতিল ও ফসলের ন্যূনতম মূ্ল্যের আইনি স্বীকৃতির দাবি। এই দু’টি দাবি নিয়েই গত এক মাসেরও বেশি সময় কয়েক দফা আলোচনায় সরকার ও কৃষক সংগঠনগুলোর মধ্যে কোনও সমঝোতা হচ্ছে না।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন