দু’মাস ধরে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের পর লালকেল্লায় হিংসার ঘটনায় কিছুটা দাগ লেগেছে কৃষক আন্দোলনের গায়ে। যা ঝেড়ে ফেলতে মরিয়া প্রতিবাদী কৃষক সংগঠনগুলো। তাই গান্ধীরজির দেখানো শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পথকেই হাতিয়ার করল কৃষক নেতৃত্ব। মহাত্মার ৭৩তম মৃত্যুদিবসে আট ঘন্টা অনশন রেখে ‘সদভাবনা দিবস’ পালন করছেন দিল্লি সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকরা। এদিন সকাল ৯ থেকে বিকেল ৫টা পর্য়ন্ত অনশনে সামিল বিক্ষোভকারী কৃষকরা। একই সঙ্গে তাঁরা এই দাবিতেও অনড় যে, প্রজাতন্ত্র দিবহসে
সংযুক্ত কিষান মঞ্চের এক নেতার দাবি, কৃষকরা শান্তির পক্ষেই ছিল, আছে এবং আগামী দিনেও থাকবে। দেশের সমস্ত মানুষকে শান্তপূর্ণ প্রতিবাদে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান কৃষক নেতা। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, আন্দোলনকে রুখতে ছক করছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সিঙ্ঘু সীমানায় সংঘর্ষ থামাতে লাঠি চার্জ করে পুলিশ, ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল।
প্রজাতন্ত্র দিবসে লালকেল্লায় তাণ্ডবের ঘটনা ঘিরে টানটান উত্তেজনা। তার মধ্যেই শুক্রবার সিঙ্ঘু সীমানায় জনতা-কৃষক খণ্ডযুদ্ধ হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, কৃষকদের রাস্তায় বসে আন্দোলনের ফলে তাদের জনজীবন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে কৃষকদের উঠে যাওয়ার দাবি জানান স্থানীয়রা। কিন্তু তা না মানলে শুরু হয় সংঘর্ষ। এক পক্ষ অন্য পক্ষকে লক্ষ্য করে ইঁট, পাথর ছোড়ে বলে অভিযোগ। কৃষকদের তাঁবু ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। এই সময় ২২ বছরের এক যুবক সাব-ইন্সপেক্টরকে তলোয়ার নিয়ে আক্রমণ করে বলে জানায় পুলিশ। শুক্রবার সংঘর্ষের জেরে এখনও পর্যন্ত ৪৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের বেশিরভাগই কৃষক।
অমশনরত কৃষকদের দাবির পক্ষে সরব হয়ে শনিবার দুপুরে টিকরি থেকে সিঙ্ঘু সীমানা পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছেন ভারতীয় কিষাম ইউনিয়ান (উগরাহান) ও কিষান মজদুর সংঘর্ষ কমিটি। কৃষক নেতাদের হুঁশিয়ারি, কেন্দ্র শত চেষ্টা করলেও আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত কোনওভাবেই কৃষকদের প্রতিবাদ, বিক্ষোভ থামানো যাবে না।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন