কোনও মতেই কৃষি আইন প্রত্যাহর নয়। অনড় মোদী সরকার। বিক্ষোভকারী কৃষকদের সঙ্গে আলোচনাতেও মেলেনি সমাধান। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আজ সকাল ৮টা থেকে ৯ ঘন্টা অনশনে বসেছেন কৃষকরা। গত ১৯ দিন ধরে দিল্লি সীমানা অবরোধ করে বসে রয়েছেন পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকেরা। সিংঘু সীমানায় বসে কৃষক আন্দোলনের নেতা গুরনাম সিং চৌধুরি ফের জানিয়েছেন, আইন প্রত্যাহার না-করা পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন প্রত্যাহারের কোনও প্রশ্নই নেই। যত দিন গড়াচ্ছে, ততই আন্দোলনরত কৃষকদের সমর্থনে এগিয়ে আসছেন দেশের অন্যান্য প্রান্তের কৃষকেরা।
জট কাটাতে রবিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাড়িতে বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর এবং বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী সোম প্রকাশ। বৈঠকের পরে তোমর কৃষকদের আন্দোলন প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানালেও নিজেদের অনশন চালিয়ে যাওয়ার প্রশ্নে অনড় থাকেন কৃষক নেতারা।
কৃষকদের অনশনের সমর্থনে আজ তিনিও অনশন করবেন বলে জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওল। আপের নেতা-কর্মীদেরও কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাদেরও অনশন করার আবেদন জানিয়েছেন কেজরি। অবিলম্বে কেন্দ্রের কৃষকদের দাবি মেনে নেওয়া উচিত বলেও মনে করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে কৃষকদের সমর্থনে ইস্তফা দিয়েছেন পঞ্জাব পুলিশের ডিআইজি (কারা)লক্ষ্মীন্দর সিং ঝাকর।
একদিকে যখন আলোচনার মাধ্যমে কৃষকদের আন্দোলন মেটাতে বলছে মোদী সরকার তখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদের অভিযোগ, কৃষক আনোদলনের পিছনে রয়েছে ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাংয়ের মদত। তিনি বলেছেন, ‘নরেন্দ্র মোদী সরকার কৃষকদের সম্মান করে। কিন্তু স্পষ্ট করা দরকার, কৃষি আন্দোলনকে সামনে রেখে ফায়দা তুলতে নেমেছে টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং। তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ আন্দোলনে কৃষক নেতাদের অজানতেই মাওবাদীরা ঢুকে পড়েছে বলে আজ ফের অভিযোগ করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী সোম প্রকাশ।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন