ফের কেন্দ্র ও আন্দোলনকারী কৃষক সংগঠনগুলোর মধ্যে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা। তবে, তা থেকে সমস্যা সমাধানের সম্ভাবনা কতটা তা নিয়ে সংশয় রয়েই যাচ্ছে।
কৃষি মন্ত্রকের যুগ্মসচিব বিবেক অগারওয়াল কৃষক সংগঠনগুলিকে চিঠি লিখে আগামী বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তবে শর্ত ছিল এমএসপি সংক্রান্ত নতুন কোনও দাবি আলোচনার ‘অন্তর্ভুক্ত’ করা যাবে না। এরপর বড়দিনে প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে বলেছিলেন, 'বেশ কিছু মানুষ কৃষি আইন নিয়ে ভুল বোঝাচ্ছে। সেই ফাঁদে তাঁরা যেন পা না দেন।' সরকার কৃষকদের সঙ্গে সব সময় আলোচনায় প্রস্তুত বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
সরকারের সঙ্গে এরপর বৈঠকে বসা উচিত হবে কিনা সেই সংক্রান্ত রণকৌশল তৈরি করতে শনিবার নিজদের মধ্যে বৈঠকে বসছে কৃষক সংগঠনগুলো। তবে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে এখনও অনড় দিল্লি সীমানায় বিক্ষোভকারী কৃষকরা। কেন্দ্রেরও নমনীয় হওয়ার কোনও ইঙ্গিত নেই।
কৃষক সংগঠন বিকেইউ (ডাকাউন্ডা) কার্যকরী সমিতির সদস্য জগমোহন সিং বলেন, 'নয়া আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আমরা এ জায়গা (দিল্লির সীমানা) ছাড়ব না। আমাদের লড়াই অগণতান্ত্রিক পদ্ধতির বিরুদ্ধে ... প্রথমে তারা পরামর্শ না করেই আইন তৈরি করল, পরে বলছে যে ওই আইন আমাদের ভালোর জন্য ... তারপর সংশোধন করে এবং বলে যে আইনগুলি ফিরিয়ে নেওয়া যাবে না। তবে আপনি কেন প্রথমে এ জাতীয় আইন তৈরি করলেন?'
বেকেইউ হরিয়ানা শাখার সভাপতি গুরনাম সিং বলেন, 'ওরা বারে বারে প্রস্তাব দিচ্ছে। কিন্তু সেগুলো পোক্ত নয়। ওদের উদ্দেশ্য ভালো হলে এই আইন তৈরি করত না। এখন সংশোধনের কথা বলছে। কিন্তু আইন প্রত্যাহর না হওয়া পর্যন্ত শেষ দেখে ছাড়বো। '
ফলে কেন্দ্রের সঙ্গে আদৌ বিক্ষোভকারীদের বৈঠক হবে কিনা, হলেও সমাসূত্র বেরবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন