একের পর এক জলকামানের তোড়ে ভেসে যাচ্ছিল বিক্ষোভ মিছিল। কিন্তু তাতেও তাঁকে দমানো যায়নি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঠান্ডার দাপট আর ক্রমাগত জলকামানের তোড়ে অসুস্থ হয়ে মৃত্য়ু হয়েছে ৫৫ বছর বয়সী লুধিয়ানার কৃষক গজ্জন সিংয়ের। হরিয়ানা সরকারের জলকামান ব্য়বহারের জন্য়ই এই মর্মান্তিক পরিণতি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে পরিবার। এজন্য় কেন্দ্র সরকারকেই দায়ী করছেন কৃষকরা। কৃষি আইন প্রত্য়াহারের দাবিতে কৃষকদের বিদ্রোহ চলাকালীন সরকারের ‘দমনমূলক পদক্ষেপে’ কৃষক মৃত্য়ুর অভিযোগ নয়া মাত্রা যোগ করল বলেই মনে করা হচ্ছে।
রবিবার সন্ধ্য়ায় ওই কৃষকের মৃত্য়ু হয়। লাগাতার জলকামান ব্য়বহার করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই কৃষক। তার জেরেই অসুস্থ হয়ে তাঁর মৃত্য়ু হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার ওই কৃষকের শেষকৃত্য় সম্পন্ন করতে চাননি কৃষকরা। তাঁদের দাবি, এ ঘটনায় হরিয়ানা সরকারের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করতে হবে। কৃষকের দেহ বাহাদুরগড় সিভিল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরফ কি গলবে? বিদ্রোহের আবহে আজ কৃষক-সরকার বৈঠক
রবিবার আচমকাই অসুস্থ বোধ করেন গজ্জন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। বিকেইউ ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন গজ্জন।
গজ্জনের ভাইপো হরদীপ সিং অভিযোগ করেন, ‘‘এ ঘটনার জন্য় হরিয়ানা ও কেন্দ্র সরকার দায়ী। গত কয়েক মাস ধরে কৃষকদের ধর্নায় বসতে বাধ্য় করা হয়েছে। বারবার জলকামান প্রয়োগে আমার চাচাজি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। আমি গভীরভাবে শোকস্তব্ধ। আমাদের দেশে মানুষের জীবনের কোনও মূল্য় নেই’’।
উল্লেখ্য়, কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ অভিযানে এ নিয়ে তিনজন কৃষকের মৃত্য়ু হল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন