রাস্তায় ব্যারিকেড, জলকামান। কিছুদিন আগেও দিল্লি-পঞ্জাব সীমান্তে এই সব দেখা যেত। সেই সময় কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে কৃষকরা আন্দোলন করছিলেন। তাঁদের দাবি ছিল, বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে। ফের সেই সব চেনা ছবি পঞ্জাবে ফিরেছে। তবে, এবার আর কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে নয়। কারণ, মোদী সরকার তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। কৃষকদের এবারের ক্ষোভের নিশানায় আম আদমি পার্টির পঞ্জাব সরকার। গম উত্পাদনের ওপর বোনাস, ১০ জুন থেকে ধান বপন শুরু করতে দেওয়ার অনুমতি-সহ বিভিন্ন দাবিতে এবারের বিক্ষোভ। আর, সেই দাবিতে এবার মোহালি সীমান্তে রাস্তায় ঘাঁটি গেড়েছেন বিক্ষোভকারী কৃষকরা। কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময় যেমনটা দেখা যেত, তেমনভাবেই বিক্ষোভকারী কৃষকরা সঙ্গে এনেছেন খাবার, বিছানা, পাখা, বাসন, রান্নার জন্য গ্যাস সিলিন্ডার।
শুধু কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কায়দায় রাস্তায় এসে বসাই না। বিক্ষোভকারী কৃষকরা ইতিমধ্যে পঞ্জাব সরকারকে এক চূড়ান্ত হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। আর, সেটা দিয়েছেন কৃষক সংগঠনের নেতা জগজিৎ সিং ডালেওয়াল। তিনি বলেছেন, 'মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান যদি বুধবারের মধ্যে আমাদের অভিযোগের প্রতিকার না-করেন, আমাদের সঙ্গে বৈঠক না-করেন, তবে কৃষকরা ব্যারিকেড ভাঙবেন। রওনা দেবেন পঞ্জাবের রাজধানী চণ্ডীগড়ের দিকে। চণ্ডীগড় ঘেরাও করা হবে।' পঞ্জাবে আপ ক্ষমতায় এসেছে, খুব একটা বেশিদিন হয়নি। তার মধ্যেই একের পর এক বিক্ষোভ আছড়ে পড়ছে পঞ্চনদের রাজ্যে। কখনও খালিস্তানের দাবি, কখনও বা অন্য কিছু। বিক্ষোভ থামার যেন নামই নেই। সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে কৃষকদের বিক্ষোভও।
আরও পড়ুন- গুজরাতে বড় ধাক্কা কংগ্রেসের, দল ছাড়লেন হার্দিক প্যাটেল
পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে বিক্ষোভকারী কৃষকদের ঠেকাতে চণ্ডীগড়-মোহালি সীমান্তে পুলিশের একটি বিরাট বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ব্যারিকেড থেকে জলকামান, বিক্ষোভ ঠেকাতে যাবতীয় ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চণ্ডীগড়। সেখানকার পুলিশ মানে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিক্ষোভকারী কৃষকদের ঠেকাতে চণ্ডীগড় পুলিশও আলাদা ব্যবস্থা করেছে। তবে, প্রশাসন বিক্ষোভ ঠেকাতে যে ব্যবস্থা রাখুক না-কেন, পিছু হঠতে নারাজ কৃষকরা। মোহালি সীমান্তে উপস্থিত কৃষক নেতা গুরবচন সিং বলেন, 'যতদিন না-দাবি পূরণ হচ্ছে, আন্দোলন চলবে। এখনও পর্যন্ত পঞ্জাবের ২৫ শতাংশ কৃষক এই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন। বুধবার থেকেই আরও বহু কৃষক এই আন্দোলনে যোগ দেবেন। আমাদের কাছে এটা মরণ-বাঁচন লড়াই।'
Read full story in English