কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় কৃষকরা। দিল্লি সীমানায় চলছে ধর্না আন্দোলন। প্রজাতন্ত্র দিবসে লাল কেল্লায় হামলারও এক মাস অতিক্রান্ত। কেন্দ্রের সঙ্গে কৃষক সংগঠনগুলোর একাধিক বৈঠকেও মেলেনি সমাধান। এদিকে ১৮ মাস আইন স্থগিতের প্রস্তাব দিয়ে কৃশষকদের কোর্টেই বল ঠেলেছে মোদী সরকার। এই অবস্থায় পাঁচ রাজ্যে ভোটের ঘোষণা হয়েছে শুক্রবার। ফলে ক্রমশ যেন স্থিমিত হচ্ছে আন্দোলনের রেশ। কৃষকদের বিক্ষোভকে বিশেষ আমল দিচ্ছে না বিজেপি। কৌশলী পথে কেন্দ্রীয় সরকারও।
গত সপ্তাহেই দিল্লিতে বিজেপির পদাধিকারিদের বৈঠক ছিল। প্রধান বক্তা ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেখানেই কার্যত স্পষ্ট করে দেওয়া যে, কৃষকদের বিক্ষোভ, ধর্না মূলত পাঞ্জাবের সমস্যা। সময় এলে তার সমাধান করা হবে। লাল কেল্লার ঘটনা তুলে ধরে আন্দোলনের হিংসাত্মক দিক প্রচারে আপাতত জোর দিচ্ছে বিজেপি। অন্যদিকে কৃষকদের খালিস্তানিরা মদত দিচ্ছে বলে মনে করছে প্রশাসন। তবে, কোনও মতেই কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হবে না বলে সংকল্প নিয়েছে গেরুয়া শিবির।
প্রশাসনও সমস্যা সমাধানে আগ বাড়িয়ে কিছউ করতে রাজি নয়। মুখে না বললেও স্থিতাবস্থার পক্ষে তারা। কৃষি মন্ত্রকের এক সিনিয়ার আধিকারিকের কথায়, 'কোনও ব্যাক চ্যানেল নেই। যা বলার তা সবই বলা হয়েছে। অন্য পক্ষ সমস্যা সমাধান না চাইলে এগোনো অসম্ভব।'
বিজেপি হোক বা কেন্দ্র- কৃশক আন্দোলনকে পুরোপুরি পাঞ্জাবের বলে মনে করছেন। বাকি যেসব রাজ্যে আন্দোলন ছড়িয়েছে সেগুলো হল হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থান। তবে গেরুয়া শিবির মনে করছে, পাঞ্জাব ছাড়া বাকি রাজ্যগুলো জাতপাতের প্রভাবের নিরিখে আন্দোলন ছড়িয়েছে। সাংগঠনিকভাবে বিজেপি যেখানে দুর্বল সেখানেই অঞ্চল বিশেষে কৃষকদের আন্দোলন মাথাচাড় দিয়েছে।
আন্দোলন প্রবল হওয়ার জন্য বিজেপি নেতৃত্ব পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। হরিয়ানায় মহাপঞ্চায়েত নিয়ে অবশ্য সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিজেপি। তবে বিধানসভা এখনও বছর চারেক দেরিতে থাকায় কৃষক আন্দোলনকে তেমন গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি।
দিশা রবির বিষয়টি কিছুটা ধাক্কা দিলেও বাকি ভোটের চার রাজ্যে কৃষকদের আন্দোলন তেমন প্রবাব ফেলবে না বলেই দাবি গেরুয়া নেতাদের।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন