নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষক বিক্ষোভ ২৬ দিনে পড়ল। কিন্তু হেলদোল নেই মোদী সরকারের। কেন্দ্র ও আন্দোলনকারী কৃষক ইউনিয়নগুলোর মধ্যে আলোচনার পর আলোচনা হলেও তা নিষ্ফলা। উল্টে কৃষক স্বার্থেই নয়া কৃষি আইন বলে দাবি করছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এই প্রেক্ষাপটে কেন্দ্র বিরোধী আন্দোলনকে আরও জোরদার করে বিজেপি সরকারের উপর চাপ বাড়াতে আজ থেকে রিলে অনশনে আন্দোলনকারী কৃষকরা। এছাড়ও, ২৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর পরবর্তী ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান চলাকালীন থালা বাজিয়ে প্রতিবাদ জানানোর জন্যও দেশবাসীকে অনুরোধ জানিয়েছে ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা জগজিৎ সিং ডালেওয়ালা।
এখানেই শেষ নয়, দিল্লি-হরিয়ানা সীমানায় অবস্থানকারী বিক্ষুব্দ কৃষকদের সিদ্ধান্ত, আগামী ২৫-২৭ ডিসেম্বর হরিয়ানায় অবস্থিত মহাসড়কের সব টোলপ্লাজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। কোনও যানবাহনের থেকে কর আদায় করতে দেওয়া হবে না।
জানা গিয়েছে, আজ থেকে শুরু হওয়া ২৪ ঘণ্টার রিলে অনশন দিল্লি সীমানায় সমস্ত প্রতিবাদস্থলেই চলছে। কমপক্ষে ১১জন রয়েছেন এই অনশনে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা কৃষকদের রিলে অনশনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে প্রতিবাদী কৃষক সংগঠনগুলোর তরফে।
প্রতিবাদ আন্দোলনের মাঝেই রবিবার ফের কৃষক সংগঠনগুলোকে নতুন করে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্র। সংগঠনগুলোর মর্জি মাফিক আলোচনার দিন স্থির করার আর্জি জানানো হয়েছে। ক্রান্তিকারী কিষাণ ইউনিয়নের পাঞ্জাব শাখার রাজ্য সভাপতি দর্শন পালকে লেখা পাঁচ পাতার চিঠিতে কৃষিমন্ত্রকের যুগ্ন সচিব বিবেক আগারওয়াল জানিয়েছেন, কৃষি আইনের বিব্রান্তি কাটাতে এর আঈগেও কেন্দ্র ও কৃষক ইউনিয়নগুলোর মধ্যে বৈঠক হয়েছে। আবারও আলোচনার জন্য প্রস্তাব দিচ্ছি। তবে দিনক্ষণ আপনাদের মরজি মাফিক স্থির হবে। সমস্যা সমাধানে বিজ্ঞান ভবনে এই বৈঠক হবে বে জানানো হয়েছে। এর আগে ১৬ ডিসেম্বর আন্দোলনকারী কৃষকরা কেন্দ্রের আইন সংশোধনের প্রস্তাব নাকচ করে দেন। তার পেরক্ষিতেই এই চিঠি ।
প্রতি বছর ২৩ ডিসেম্বর ভারতে পালিত হয় কৃষক দিবস। ওই দিন দেশের সমস্ত কৃষককে দুপুরের খাবার না খাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে সংগঠনগুলি।
এদিকে, আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি জানাতে ফেসবুক পেজ খুলেছিলেন আন্দোলনরত কৃষকরা। কিষাণ একতা মোর্চা নামে ওই ফেসবুক পেজ এবার ব্যান করার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ রবিবার ফেসবুক ওই পেজ বেশ কিছুক্ষণের জন্য ব্যান করে দেওয়া হয়। ফলে হইচউ শুরু হয়। এদিন ফেসবুক পেজ কতক্ষণ বন্ধ ছিল, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। কেন অকার্যকর করা হয় সেই উত্তরও মেলেনি। কৃষকদের তথ্যপ্রযুক্তি শাখার প্রধান বলজিৎ সিং বলেন, "কিষাণ একতা মোর্চার অফিসিয়াল ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে সে সম্পর্কে আগে থেকে কিছু জানানো হয়নি। তাঁর কথায়, ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা জগজিৎ সিং ডালেওয়ালা শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণের পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন। তাই এই পদক্ষেপ।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন