Advertisment

Farmers Protest: চতুর্থ দফা বৈঠকে আন্দোলন শেষের ইঙ্গিত? সরকারের বড় ঘোষণা, আশায় বুক বাঁধছেন কৃষকরা

কৃষকরা তাদের সিদ্ধান্ত জানাতে মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় চেয়েছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Talks positive, focused on crop diversification, aid via NAFED: Govt

রবিবার চণ্ডীগড়ে কৃষক নেতাদের সাথে বৈঠকের সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা, পীযূষ গয়াল এবং নিত্যানন্দ রাই এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। (এক্সপ্রেস ছবি)

MSP-এর আইনি গ্যারান্টি নিয়ে রবিবার চণ্ডীগড়ে কৃষক নেতা এবং তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মধ্যে চতুর্থ দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আরও চারটি ফসলের উপর এমএসপি দিতে রাজি হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের এই প্রস্তাবে বৈঠকে উপস্থিত কৃষক নেতারা বলেছেন যে তারা সমস্ত সংস্থার সঙ্গে কথা বলে আজ এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

Advertisment

ধান এবং গম ছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের মসুর, অরোর, ভুট্টা এবং তুলার উপর এমএসপি দেওয়ার প্রস্তাবও পেশ করেছে। এর জন্য কৃষকদের ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল কো-অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (NAFED) এবং কটন কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (CCI) এর সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে।

কৃষকদের আন্দোলনের আজ সপ্তম দিন। রবিবার রাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে কৃষক নেতাদের পাঁচ ঘণ্টা বৈঠক হয়। এরপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল সাংবাদিকদের বলেন, চতুর্থ দফার আলোচনা খুবই ইতিবাচক হয়েছে।

রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) চতুর্থ দফা আলোচনা হয় কৃষক নেতা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের তিন মন্ত্রীর (অর্জুন মুন্ডা, পীযূষ গয়াল এবং নিত্যানন্দ রাই) মধ্যে। গভীর রাত পর্যন্ত চলা এই বৈঠকে উভয় পক্ষই অনেক বিষয়ে একমত হয়। পাঞ্জাব কিষাণ মজদুর সংগ্রাম সমিতির সাধারণ সম্পাদক সারওয়ান সিং পান্ধের বলেছেন যে বৈঠক চলাকালীন কেন্দ্রীয় সরকার এমএসপি নিয়ে পাঁচ বছরের পরিকল্পনা সহ আরও কিছু পরিকল্পনা পেশ করেছে, বৈঠকের পর কৃষকরা বর্তমানে 'দিল্লি চলো' অভিযান বন্ধ রেখেছে।

সারওয়ান সিং পান্ধের বলেন, বর্তমানে আমরা দু দিনের সময় চেয়েছি। আমরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলব। আমাদের মধ্যে ঐকমত্য হলে আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করব। কোনো সমঝোতা না হলে আমরা ২১ ফেব্রুয়ারি ফের দিল্লির উদ্দেশ্যে যাত্রা করব। বৈঠকে কী হয়েছে জেনে নিন শীর্ষ পয়েন্ট।

কি হল বৈঠকে?

- কৃষক নেতা এবং তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছাড়াও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এই বৈঠকে হাজির ছিলেন। বৈঠক শেষ হওয়ার কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এদিনের বৈঠককে ইতিবাচক বলে বর্ণনা করেছেন।

- তিনজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর প্যানেল কৃষক নেতাদের সাথে বৈঠক করে সরকারী সংস্থাগুলির দ্বারা ন্যূনতম সমর্থন মূল্যে ডাল, ভুট্টা এবং তুলা ফসল সংগ্রহের জন্য একটি পাঁচ বছরের পরিকল্পনার প্রস্তাব করেছে৷

-কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বৈঠকে বলেছেন, “ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ কনজিউমার ফেডারেশন (NCCF) এবং ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল কো-অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (NAFED) এর মতো সমবায় সমিতিগুলি কৃষকদের সঙ্গে একটি চুক্তি করবে আগামী পাঁচ বছরের জন্য।”

- কেন্দ্র আরও প্রস্তাব করেছে যে ভারতের কটন কর্পোরেশন (সিসিআই) একটি আইনি চুক্তির মাধ্যমে পাঁচ বছরের জন্য কৃষকদের কাছ থেকে MSP-তে তুলা ক্রয় করবে।

- কৃষকরা তাদের সিদ্ধান্ত জানাতে মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় চেয়েছেন।

- পাঞ্জাব কিষান মজদুর সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক সারওয়ান সিং পান্ধের বলেছেন যে বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকার একটি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা সহ কিছু ধারণা উপস্থাপন করেছে, যার পরে কৃষকরা 'দিল্লি চলো' পদযাত্রা স্থগিত করেছে। তিনি বলেন, 'আমরা কেন্দ্রের দেওয়া প্রস্তাবগুলি সহ কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করব এবং বিশেষজ্ঞদের মতামত নেব। আমরা আগামী দুই দিনের মধ্যে সরকারের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করব। ঐক্যমতে না পৌছাতে পারলে ফের আমাদের আন্দোলন শুরু করব'।

- চতুর্থ দফা বৈঠকেও স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন এবং কৃষকদের ঋণ মকুবের মতো দাবিতে কোনো ঐকমত্য হয়নি।

BKU leaders Jagjeet Singh Dalewal, Sarwan singh Pandher
চণ্ডীগড়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পরে বিকেইউ নেতা জগজিৎ সিং ডালেওয়াল, সারওয়ান সিং পান্ধের এবং অন্যরা মিডিয়ার সামনে বক্তব্য রাখছেন। (এক্সপ্রেস ছবি জসবীর মালহী)
Talks positive, focused on crop diversification, aid via NAFED: Govt
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, অর্জুন মুন্ডা এবং নিত্যানন্দ রাই চণ্ডীগড়ে বিকেইউ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর মিডিয়ার সামনে বক্তব্য রাখছেন৷ (এক্সপ্রেস ছবি জসবীর মালহী)
Farmers Protest
Advertisment