রাজধানীর বুকে কৃষক মিছিলই হয়ে উঠল মোদী সরকারকে আক্রমণের জন্য বিরোধী ঐক্যের মঞ্চ। বৃহস্পতিবার বাম কৃষক ও ক্ষেত মজুর সংগঠনগুলির মিছিলে যোগ দেন সীতারাম ইয়েচুরি, যোগেন্দ্র যাদব, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, রাহুল গান্ধী। সেই মঞ্চ থেকেই মোদী সরকারকে একযোগে নিশানা করেন নেতারা।
এদিন রাহুল বলেন, "কৃষকরা মোদী সরকারের কাছ থেকে কোনও উপহার চাইছে না। বরং, যে পাওনা বাকি রয়েছে, তা মিটিয়ে দেওয়া হোক"। অন্যদিকে, কেন্দ্রকে অবিলম্বে স্বামীনাথন প্যানেলের সুপারিশ কার্যকর করার দাবি জানান কেজরিওয়াল। এছাড়া, বিরোধী দলগুলিকে একজোট হয়ে দেশের তরুণ এবং কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েক হাজার কৃষক এদিন জমায়েত করেছেন রাজধানীর রামলীলা ময়দানে। সেখান থেকে সংসদের দিকে রওনা হয় ভুখা মানুষের এই মিছিল। ঋণ মকুব-সহ মূলত তিনটি দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে দু-দিন ব্যাপী কৃষকদের বিক্ষোভ চলছে দিল্লিতে।
অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র থেকে প্রায় এক লক্ষ কৃষক রাজধানীতে জমায়েত করেছেন।
রাজধানীতে কৃষক বিক্ষোভ
তেলেঙ্গানায় আত্মহত্যা করা কৃষক পরিবারের মহিলারাও এদিন ট্রেনে চড়ে ৩০ ঘণ্টার পথ অতিক্রম করে যোগ দিয়েছেন বিক্ষোভ মিছিলে। জানা যায়, ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য টাকা জমাতে রীতিমতো বেগ পেতে হয়েছে তাদের।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কৃষক বিক্ষোভকে সমর্থন জানিয়ে টুইট করছে রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে ছাত্রনেতারা এবং বিরোধী সাংসদরা।
অল ইন্ডিয়া কিষান সংঘর্ষ কো-অর্ডিনেশন কমিটি (এআইকেএসসিসি) আয়োজিত এই বিক্ষোভ মিছিলকে সমর্থন করেছে বাম-সহ বিভিন্ন কৃষক সংগঠনই।
ছবি- প্রবীণ খান্না
শুক্রবার সকাল থেকে বিক্ষোভের স্লোগান ছিল একটাই- 'অযোধ্যা চাইনা, ঋণ মকুব চাই'। রাজধানীর রাজপথে সাড়ে তিন হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে শুক্রবার সকাল থেকেই।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/11/delhi-rallyfarmers-march-2-pk-2.jpeg)
এআইকেএসসিসি-র তরফে দাবি, সাম্প্রতিককালে ঘটা কৃষক পদযাত্রাগুলির মধ্যে এদিনেরটি অন্যতম। বৃহস্পতিবারের এই মিছিলের জন্য প্রায় ৩,৫০০ নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।