উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি-কাণ্ডে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রের গ্রেফতারির দাবিতে 'রেল রোকো' অভিযানে কৃষকরা। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার ব্যানারে এই প্রতিবাদ কর্মসূচির জেরে সপ্তাহের প্রথম দিনেই স্তব্ধ পঞ্জাবের রেল পরিষেবা। সোমবার সকাল ১০-৪টে পর্যন্ত পঞ্জাবজুড়ে 'রেল রোকো' অভিযানে কৃষকরা।
কেন্দ্রের নয়া তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে গত বছর থেকে বিক্ষোভে সামিল দেশের কৃষক সমাজের একটি বড় অংশ। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার ব্যানারে গোটা দেশেই বিক্ষোভ কর্মসূচি জারি রয়েছে। এবার লখিমপুর খেরির ঘটনাতেও সম্মিলিত প্রতিবাদ। পঞ্জাবের ১১ জেলার ২০টি জায়গায় সোমবার সকাল থেকে শুরু রেল অবরোধ।
এদিনের 'রেল রোকো' অভিযানের জেরে পঞ্জাবের ফিরোজপুর ডিভিশনে রেল পরিষেবা স্তব্ধ হয়ে যায়। এদিন ফিরোজপুর-ফাজিলকা শাখার ফিরোজপুর সিটি ও ফিরোজপুর-লুধিয়ানা শাখার মোগার অজিতওয়ালে রেল পরিষেবা ব্যাহত হয়। অম্বালা রেলওয়ে ডিভিশনের বিভিন্ন স্টেশনে ১৩টি এক্সপ্রেস ট্রেন-সহ তিনটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন বিক্ষোভের জেরে আটকে পড়ে।
সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, 'লখিমপুর খেরির ঘটনায় ন্যায় বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ আরও তীব্র হবে।' উল্লেখ্য, ৩ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি জেলায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কৃষকরা। টিকোনিয়ায় প্রতিবাদী কৃষকদের ভিড়ের মধ্য দিয়ে তিনটি গাড়ির একটি কনভয় চলে যায়। কনভয়ের একটি গাড়ি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয়মিশ্রের ছিল। তাঁর ছেলে আশিস ওই গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে।
লখিমপুর খেরিতে গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে চার কৃষকের মৃত্যু হয়। পরবর্তী সময়ে প্রবল বিক্ষোভ-সংঘর্ষের জেরে মন্ত্রীর গাড়ি চালক ও দুই বিজেপি কর্মী-সহ স্থানীয় এক সাংবাদিকের মৃত্যু হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কনভয়ের দ্বিতীয় গাড়িটির মালিক প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অখিলেশ দাসের ভাগ্নে অঙ্কিত দাস। তবে তৃতীয় গাড়িটির মালিকের পরিচয় এখনও মেলেনি।
আরও পড়ুন- ক্রমশ সুস্থ হচ্ছে দেশ, আরও কমল অ্যাক্টিভ কেস, ২২১ দিনে সর্বনিম্ন দৈনিক সংক্রমণ
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয়মিশ্র পরে জানিয়েছিলেন, ঘটনার সময়ে সেখানে তাঁর ছেলে আশিস উপস্থিত ছিলেন না। তবে আশিসকে পরে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুধু আশিসই নন। এই ঘটনায় আশিসের সহযোগী লভকুশ পান্ডে, আশিস পান্ডে, অঙ্কিত দাস, শেখর ভারতী এবং লতিফকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন