কৃষি আইন প্রত্যাহার এবং ন্যূনতম সহায়ক মূল্যকে আইনি বৈধতা দিতে কেন্দ্র রাজি না হলে আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়বে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন বিক্ষোভকারী কৃষকরা। ৮টা জানুয়ারি বিক্ষোভকারী কৃষক সংগঠনগুলোর সঙ্গে কেন্দ্রের সপ্তম পর্যায়ের বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকে দাবি না মিটলে হরিয়ানার সব শপিং মল ও পেট্রোল পাম্প বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুঙ্কার দিল্লি সীমানায় অবস্থানরত কৃষকদের।
গত বুধবারই উভয় পক্ষের বৈঠকে কৃষকদের চাষের কাজে ব্যবহারের জন্য বিদ্যুত শুল্ক হ্রাস ও কৃষি উৎপাদনের অবশিষ্টাংশ পোড়ানোর জন্য আর্থিক জরিমানার না করার দাবি মেনে নিয়েছে কেন্দ্র। এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার। আন্দোলনকারীদের মোট চারটির মধ্যে দু'টি দাবি মেনে নেওয়ার ক্ষেত্রে উভয় পক্ষই সহমত পোষণ করেছিল। বাকি দুই দাবি, অর্থাৎ কৃষি আইন প্রত্যাহার এবং ন্যূনতম সহায়ক মূল্যকে আইনি বৈধতা দানের বিষয়টি আগামী সোমবার কেন্দ্র ও কৃষক সংগঠনগুলোর মধ্যে বৈঠকে আলোচনা হবে।
সিংঘু সীমানায় বিক্ষোভকারী কৃষক সংগঠনগুলোর তরফে এখন বলা হচ্ছে যে, তাঁদের দাবির মাত্র পাঁচ শতাংশ নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমাদের দাবি না মানলে আগামী সপ্তাহেই শাহজাহানপুর সীমানা থেকে দিল্লির দিকে রওনা দেব আমরা। আন্দোলনকারী কৃষকদের নেতা যুধবীর সিং বলেন, 'কেন্দ্র যদি মনে করে শাহিনবাগের মতো করে আমাদের প্রতিবাদ এগিয়ে যাবে তবে ওরা ভুল করছে। শাহিনবাগের মতো আমদের কোনও মতেই ওঠানো যাবে না। দাবি না মেটা পর্যন্ত দিল্লি সীমানা থেকে আমরা নড়বো না।'
দ্য অল ইন্ডিয়ান সংঘর্ষ কো-অর্ডিনেশন কমিটি এক প্রেস বিবৃতিতে সমঝোতার সূত্র নিয়ে আলোচনাকারী কর্পোরেট-বুদ্ধিজীবীদের সমালোচনা করেছে। আন্দোলনকারী তিন নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতেই অনড় বলে জানানো হয়েছে। তাঁদের মতে, এই আইন কর্পোরেট স্বার্থবাহী, তাই ছোট দু'টি দাবিপূরণের মাধ্যমে কৃষক বিক্ষোভ কোনওমতেই প্রশমণ করা যাবে না।
প্রতিবাদী ৪০ কৃষক সংগঠনগুলোর ঐক্যবদ্ধমঞ্চ সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফে বলা হয়েছে ৪ঠা জানুয়ারির বৈঠক ফলপ্রসূ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের জন্য একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেমন, ৬ জানুয়ারি ট্রাক্টর মার্চ হবে কুন্দলি-মানেসার-পালওয়াল এক্সপ্রেসওয়েতে। দিল্লি-হরিয়ানা-রাজস্থান সীমানায় অবস্থানরত কৃষকদের শাহজাহানপুর সীমানা থেকে দিল্লির দিকে রওনা দেওয়ার ডাক দেওয়া হবে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন