Farooq Abdullah-Pakistan not wearing bangles: রাজনাথ সিং আরও বলেছেন যে, জম্মু-কাশ্মীরে (J&K;) নিরাপত্তা পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। একটা সময় আসবে যখন সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন (AFSPA) আর কেন্দ্রশাসিত উপত্যকায় প্রয়োজন হবে না। (ছবি- এক্সপ্রেস)
Farooq Abdullah to Rajnath Singh’s PoK remark: 'পাকিস্তানও হাতে চুড়ি পরে বসে নেই। ওদের কাছেও পরমাণু বোমা আছে।'- প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের পাক অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) প্রসঙ্গে মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়ায় এমনটাই জানিয়েছেন কাশ্মীরের নেতা ফারুক আবদুল্লা। এর আগে রাজনাথ সিং বলেছিলেন, 'ভারত সেনাবাহিনীকে দিয়ে জোর করে কাশ্মীর দখল করতে হবে না। উপত্যকার উন্নয়ন দেখে অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা নিজেরাই ভারতের অংশ হতে চাইবেন।'
Advertisment
রাজনাথ সিং বলেছিলেন, 'আমি মনে করি যে ভারতকে কিছুই করতে হবে না। জম্মু ও কাশ্মীরে যেভাবে অর্থনৈতিক অগ্রগতি ঘটছে, যেভাবে সেখানে শাস্তি ফিরে এসেছে, আমি মনে করি যে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জনগণই ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার দাবি করবেন। পিওকে আমাদের ছিল, আমাদেরই থাকবে।' তারই জবাবে ফারুক আবদুল্লাহ বলেছেন, 'যদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলে থাকেন, তবে এগিয়ে যান। আমরা বাধা দেওয়ার কে? তবে মনে রাখবেন, তারাও (পাকিস্তান) চুড়ি পরে বসে নেই। তাদের কাছেও পরমাণু বোমা আছে। দুর্ভাগ্যবশত, সেটা আমাদের ওপর পড়তে পারে।'
#WATCH | Srinagar, J&K: On Defence Minister Rajnath Singh's statement that 'PoK will be merged with India', JKNC Chief Farooq Abdullah says, "If the defence minister is saying it then go ahead. Who are we to stop. But remember, they (Pakistan) are also not wearing bangles. It has… pic.twitter.com/hYcGnwVxP2
রাজনাথ সিং আরও বলেছেন যে, জম্মু-কাশ্মীরে (J&K) নিরাপত্তা পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। একটা সময় আসবে যখন সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন (AFSPA) আর কেন্দ্রশাসিত উপত্যকায় প্রয়োজন হবে না। শুধু প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-ই নন। ইতিমধ্যে, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরও (রবিবার) বলেছেন যে অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) ভারতের অংশ। এই প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী বলেন, 'পিওকে (PoK) কখনও এই দেশের বাইরে ছিল না। এটা এই দেশেরই অংশ। ভারতীয় সংসদের একটি সিদ্ধান্ত হল যে পিওকে এদেশের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।'
অবশ্য প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাশ্মীরে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতির দাবি করলেও, শনিবারই (৪ মে) সন্ধ্যায় বায়ুসেনার কনভয়ে হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। ওই দিন সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ওই হামলা চলে। সুরানকোটের সানাইগ্রামে এই হামলা হয়। হামলার জবাব দিয়েছেন বায়ুসেনার জওয়ানরাও। দুই পক্ষের গুলির লড়াইয়ে এক জওয়ান অবশ্য শহিদ হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও পাঁচ জওয়ান। তার মধ্যে এক জওয়ানের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনার পরেই নিরাপত্তা বাহিনী তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। এই ঘটনায় বহুদিন পর কাশ্মীরে জঙ্গিহানার বড়সড় উদাহরণ তৈরি হল। কাশ্মীরে বর্তমান সময়ে জঙ্গিহানার ঘটনা আগের তুলনায় অনেকটাই কমে এসেছে। একইসঙ্গে উপত্যকায় আগের চেয়ে উন্নয়নও বেশি ঘটেছে। তারই মধ্যে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যে নতুন করে শুরু হয়েছে বিতর্ক।