দেশের যেসব অঞ্চলে করোনা সংক্রমণ দ্রুত রোধ বা মোকাবিলা করা গিয়েছে সেই সব অঞ্চলে অর্থনৈতিক কার্যকলাপ উল্লেখযোগ্যহারে বেড়েছে। অর্থমন্ত্রকের অর্থনীতি বিষয়ক দফতরের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে।
আপাতভাবে এই বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, বেশকিছু রাজ্য রয়েছে যেগুলোতে করোনার প্রকোপ খুব বেশি। সেই সব রাজ্যে সঠিক আকারে অর্থনৈতিক পুনরুত্থান না ঘটলে বৃহত্তর প্রেক্ষিতে অর্থনৈতিক সমস্যার সৃষ্টি হবে।
অর্থনৈতিক ক্রিকলাপ চাঙ্গার বিষয়টি সূচিত হচ্ছে মূলত তিনটি ইস্যুর প্রেক্ষিতে। এগুলি হল, বিদ্যুতের ব্যবহার, ই-ওয়ে বিলের অনুমোদন ও একশ দিনের কাজ প্রকল্প।
যেমন বিদ্যুৎ বন্টন মে মাসের তুলনায় জুন মাসে ৩ মিলিয়ান ইউনিট বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিসংখ্যানের প্রেক্ষিতে গত বছরের তুলনায় কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, পাঞ্জাব ও ছত্তিশগড়ে এই পুনরুদ্ধারের হার বেশি।
মে মাসের তুলনায় রাজ্যের অভ্যন্তরে ও আন্তঃরাজ্য পণ্য চলাচলওের হারও বেড়েছে। ই-ওয়ে বিল অনুমোদন বেড়েছে। কিন্তু কয়েক বছরের বৃদ্ধির তুলনা করলে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, দিল্লি ও হরিয়ানার মত করোনার প্রকোপযুক্ত রাজ্যগুলোতে এই বৃদ্ধির হার বেশ কম। জিএসটি নথিভুক্ত থাকলে বা ৫০ হাজারের বেশি পণ্য অন্যত্র গেলেই ই-ওয়ে বিলের প্রয়োজন হয়। পণ্য চলাচলের বৃদ্ধি অর্থনীতি চাঙ্গার অন্যতম ইঙ্গিত বলেই বিবেচিত।
একশ দিনের কাজের চাহিদা যেমন বেড়েছে তেমনই এই প্রকল্পের অধীন কর্মদিবসের সংখ্যাও বৃদ্ধি পয়েছে। কয়েক বছরের তুনায় বছর জুন মাসে কর্মদিবস বড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। তবে, করোনার জেরে পরিযায়ী শ্রমিকের দল বাড়ি ফেরায় মহারাষ্ট্রে এর চাহিদা অন্যন্য বারের তুলনায় কম।
একই সঙ্গে অন্য দুটি বিষয় যেমন জিএসটি সংগ্রহ এবং যানবাহনের নিবন্ধকরণ দেশের অর্থনীতিক উন্নতির অন্যতম সূচক বলে গণ্য হয়। জুন মাসে এই ক্ষেত্রেই কিছুটা উন্নতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। দিল্লি, তামিলনাড়ু, কর্নাটকে যানবাহনের নিবন্ধকরণ হার করোনা সত্বেও ভাল।
ব্যবসায়িক ক্রিয়াকলাপের এই বর্ধিত পুনঃস্থাপনের সর্বশেষতম নোমুরা ইন্ডিয়া বিজনেস রিজমিশন সূচকেও প্রতিফলিত হয়েছে, যা ২ আগস্ট শেষ হওয়া সপ্তাহের জন্য ৭০.৪ পর্যন্ত অপরিবর্তিত রয়েছে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন