/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/11/Untitled-design-2021-11-05T154630.043.jpg)
বাঁদিকে মৃত বাবা-ছেলের ফাইল ছবি। ডান দিকে সিসিটিভি থেকে পাওয়া ঘটনার মুহূর্তের ছবি।
Tamilndu: আলোর উৎসবের আবহে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু বাবা-ছেলের। জানা গিয়েছে, পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কলাইনেসান ছেলেকে বাইকে চাপিয়ে আতসবাজি বিক্রি করতে যাচ্ছিলেন। ব্যাগে থাকা সেই বাজি ফেটেই এই দুর্ঘটনা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে কলাইনেসান ও তাঁর ৭ বছরের ছেলে প্রদীসের। গুরুতর ভাবে জখম হয়েছেন আশপাশের তিন পথচারী। দীপাবলির দিনের এই ঘটনায় শোকের ছায়া আমিলনাড়ুর আরিয়ানকুপ্পামে।
পুলিশ সূত্রে খবর, আরিয়ানকুপ্পাম থেকে পাইকারি দরে বাজি কিনে পুদুচেরি যাচ্ছিলেন বাবা-ছেলে। দুর্ঘটনাস্থল অর্থাৎ কোটাকুপ্পম এলাকার সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে ছেলের হাতে ব্যাগ আর বাবা চালাচ্ছিলেন স্কুটার। সেই সময় ব্যাগে থাকা বাজি ফেটে এই দুর্ঘটনা। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে প্রায় ১০-১৫ মিটার দূরে ছিটকে পড়েন দুই জন। সেই স্কুটারের পাশে থাকা আরও তিনটি দু’চাকার সওয়ারি গুরুতরভাবে জখম হয়েছে। তাঁরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এই ঘটনায় আইপিসির বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর এক পুলিশকর্তা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছে, দীপাবলির কয়েকদিন আগে পুদুচেরি থেকে এই বাজি কিনে শ্বশুরবাড়িতে রেখেছিলেন। বৃহস্পতিবার সেই বাজির ব্যাগ নিয়ে ফের পুদুচেরি যাওয়ার পথেই এই দুর্ঘটনা। কোনওভাবে ঘর্ষণে কিংবা গরমে বারুদ জ্বলে গিয়ে এই বিস্ফোরণ।
এই দুর্ঘটনার মধ্যেই চেন্নাই পুলিশ বৃহস্পতিবার গোটা শহরজুড়ে অভিযান চালিয়েছে। মাদ্রাজ হাইকোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়ের বাইরে বাজি পোড়ানোর অভিযোগে ৭০০ নাগরিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। পাশাপাশি অবৈধ ভাবে বাজি মজুতের অভিযোগে একাধিক স্থানীয় ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ।
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখনটেলিগ্রামে, পড়তেথাকুন