অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরিতে সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্র মিলতেই ওই এলাকায় জমির কারবার বহুগুণে বেড়ে ওঠে। খোদ সরকারি কর্তাদেরই একাংশ এই জমি কেনায় এগিয়ে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। অযোধ্যার জেলাশাসক থাকাকালীন অনুপ ঝা নামে এক ব্যক্তির বাবার নামে মন্দিরের ১ কিলোমিটারের মধ্যেই জমি কেনা হয়েছে বলে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানতে পেরেছে। শুধু ওই ব্যক্তিই নন। কমপক্ষে আরও ১৪ সরকারি কর্তার আত্মীয়ের নামে রাম মন্দিরের ছাড়পত্র মেলার পর অযোধ্যায় জমি কেনা হয়েছে বলে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তদন্তে উঠে এসেছে।
তথ্য ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে, ২০২০-এর ২৮ মে অযোধ্যার মুঘলপুরা এলাকায় বদ্রী ঝায়ের নামে ৩২০.৬৩১ স্কোয়ার মিটার জমির রেজিস্ট্রি করা হয়। ওই জমিটির মূল্য ছিল ২৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। ওই এলাকাটি রাম মন্দির থেকে মাত্র ১ কিলোমিটারের মধ্যেই পড়ে। বদ্রী ঝা নামে ওই ব্যক্তি সম্পর্কে সেই সময়ে অযোধ্যার জেলাশাসক তথা উত্তরপ্রদেশের আইএএস অফিসার অনুজ ঝায়ের বাবা। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস তদন্তে জানতে পেরেছে, অনুজ ঝা বাকি ১৫ জনেরই একজন পদস্থ সরকারি কর্তা, যাঁদের আত্মীয়রা ২০১৯-এ সুপ্রিম কোর্টের অযোধ্যা মামলার রায়ের পর ওই এলাকায় জমি কিনেছেন।
অনুজ ঝা নামে ওই ব্যক্তি ২০১৯-এর ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২১-এর ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত অযোধ্যার জেলাশাসক হিসেবে চাকরি করেছেন। বর্তমানে তিনি রাজ্য সরকারের পঞ্চায়েত রাজ দফতরের অধিকর্তা। উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউতে তাঁর পোস্টিং। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে ঝা বলেন, “অযোধ্যা একটি ধর্মীয় জায়গা। আমার বাবাও একজন প্রবীণ মানুষ। যদি তিনি তাঁর জীবনের শেষ দিনগুলি ওই এলাকায় কাটাতে চান, এতে দোষের কী আছে? ওখানে কী কোনও জমি কেনা যায় না? এখানে কোনও ভুল হয়নি।”
আরও পড়ুন- দিল্লির হাসপাতালে ভর্তি ওমিক্রন আক্রান্ত ৩৪ জনের ৩৩ জনই টিকা নিয়েছিলেন
এদিকে, অযোধ্যায় উত্তরপ্রদেশ সরকারের ওই পদস্থ কর্তার বাবার নামে কেনা জমির রেকর্ড খতিয়ে দেখেছে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। দেখা যাচ্ছে বদ্রী ঝা নামে ওই ব্যক্তি অযোধ্যার তুলসীনগরের মনসারাম সিংয়ের কাছ থেকে "আবাসিক (অকৃষি)" জমি কিনেছিলেন। রেজিস্ট্রিতে উল্লিখিত বদ্রী ঝা-এর ঠিকানা বিহারের মধুবনী।
Read full story in English
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তেথাকুন