মিশনারিজ অফ চ্যারিটির লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ হল। ২০২৬-এর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হল লাইসেন্সের মেয়াদ। কেন্দ্রীয় সরকার নোবেলজয়ী মাদার টেরেজা প্রতিষ্ঠিত মিশনারিজ অফ চ্যারিটির ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট (FCRA) নিবন্ধন পুনর্নবীকরণ না করায় বিপত্তি তৈরি হয়। মাদারের সংস্থায় বিদেশি অনুদান আসা বন্ধ হয়ে যায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে ১৬ হাজার ৯০৮টি সক্রিয় FCRA সংস্থা রয়েছে, মিশনারিজ অফ চ্যারিটি যাদের মধ্যে অন্যতম।
উল্লেখ্য, ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট বা এফসিাআরএ-র অধীনে মাদার টেরেজার সংস্থার তরফে লাইসেন্স নবীকরণের আবেদন করা হয়েছিল। এনজিও হিসেবে এই আবেদন জমা পড়েছিল অমিত শাহের মন্ত্রকে। ২৫ ডিসেম্বর সেই আবেদন খারিজ করে দেয় শাহের মন্ত্রক। এই পদক্ষেপের পিছনে যুক্তি হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানায়, যোগ্যতামান পূরণ করতে না পারায় মিশনারিজ অফ চ্যারিটির লাইসেন্স নবীকরণ আবেদন খারিজ করা হয়েছে। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত বৈধ ছিল লাইসেন্স।
আরও পড়ুন- কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ে তোলপাড় দেশ, একদিনে করোনা আক্রান্ত ১ লক্ষ ৪১ হাজারেরও বেশি
১৯৫০ সালে মানবিক কাজকে সামনে রেখে মাদার টেরেজা মিশনারিজ অফ চ্যারিটি তৈরি করেন। তারপর থেকে কলকাতার এই সংস্থাই হয়ে ওঠে নোবেলজয়ী মাদারের ধ্যানজ্ঞান। দেশ-সহ বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে মিশনারিজ অফ চ্যারিটির শাখা। এমন এক সংস্থার লাইসেন্স বাতিল নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের ওই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে জমা দেওয়া বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাদারের সংস্থায় গত পাঁচ বছরে ৪২৫.৮৬ কোটি টাকা বিদেশি অনুমদান জমা পড়েছে। গত ১৫ বছরে ১০৯৯ কোটি টাকারও বেশি অনুদান পেয়েছে মাদার টেরেজার সংস্থা। ২০২০-এর এপ্রিল থেকে মার্চ ২০২১ এর মধ্যে মিশনারিজ অফ চ্যারিটি ৭৫.১৯ কোটি টাকা অনুদান পেয়েছে।
Read full story in English