থাইল্যান্ডের গুহায় আটকে পড়া খুদে ফুটবলারদের বিশ্বকাপ দেখতে আসার আমন্ত্রন জানালেন ফিফা প্রেসিডেন্ট গিয়ানিনি ইনফান্তিনো। পাঁচদিন ধরে লাগাতার উদ্ধার কার্য চালিয়ে যাওয়ার পর অবশেষে গুহামুক্ত হল কোচ সহ ১২ জন ফুটবলার। এদিকে ১৫ জুলাই মস্কো শহরে বিশ্বকাপ ফাইনালের তোড়জোড় শুরু। কিন্তু থাইল্যান্ড থেকে রাশিয়া যাওয়ার মত শারিরীক অবস্থা আছে কি ওই খুদেদের?
ফিফার চিঠির উত্তরে থাইল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের এক আধিকারিক বলেন, "সবাইকে যদি উদ্ধার করা সম্ভব হয় ওই দিনের মধ্যে, এবং সুস্থ হয়ে বাবা মায়ের কাছে ফিরে যেতে পারে, তাহলে তাদের রাশিয়ায় ফাইনাল দেখতে যেতে দেওয়া হবে।" এছাড়াও তিনি দৃঢ় আশা জানান ওই ১২ জন খুদে ফুটবলার খেলা দেখতে যেতে পারবে। গতকাল বিকেল বেলায় সবাইকে গুহা থেকে উদ্ধার করে আনা সম্ভব হয়েছে।
জাপানের বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে ব্রাজিলের রোনাল্ডো, সবারই চোখ ছিল গুহায় আটকে পড়া ফুটবলারদের দিকে। লিভারপুল ম্যানেজার ইয়ুর্গেন ক্লপ জানিয়েছেন, তাঁরা প্রতিনিয়ত নজর রাখছিলেন খবরের ওপর।
২৩ জুন কোচের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে থাইল্যান্ডের দীর্ঘতম গুহা লুয়াং ল্যাঙে আটকে পড়ে ১২ জন কিশোর ফুটবলার। তাদের বের করতে থাইল্যান্ডের সঙ্গে আমেরিকা, ব্রিটেন, সুইডেনের সেনাও হাত লাগিয়েছিল উদ্ধার কার্যে। আটকে পড়া ১২ জনের বয়স ১১ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে, এবং তাদের সঙ্গে ছিলেন বছর ২৫ এর কোচ। ২৩ জুন তাদের ইচ্ছা জাগে অ্যাডভেঞ্চার করার। আর সেই কারণেই ওই গুহায় ঢোকে কোচ সহ ১২ জন ফুটবলার, তারপরই ঘটে যায় বিপত্তি। আবহাওয়ার অবনতির আগেই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উদ্ধার কার্য সেরে ফেলার চেষ্টা চালানো হচ্ছিল।
এবার তাদের সুস্থ হওয়ার পালা। উদ্ধারকারীরা না পৌঁছনো অবধি না খেয়ে ছিল সবাই। স্বভাবতই দুর্বল হয়ে পড়ে শরীর। এর পর চড়াই উৎরাই পেরিয়ে রীতিমত স্কুবা ডাইভ দিয়ে বেরিয়ে আসতে হয়েছে ওই জায়গা থেকে। এবার সুস্থ হওয়ার পালা। তারপরই বিশ্বকাপ দেখতে যাওয়ার অনুমতি পাবে কোচ সহ ১২ জন খুদে ফুটবলার।