/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/07/fifa.jpg)
২৭ বছরের পরমবীর সিং এবং ৩৩ বছরের অনুরাগ চোপড়া রাশিয়ার স্টেডিয়ামে ওড়ালেন ভারতের পতাকা
উনিশ হাজারের বেশি ভারতীয় এবার টিকিট কিনেছেন ফিফা বিশ্বকাপ ম্যাচের, চণ্ডীগড়ের দুই ফ্যান পরমবীর সিং (২৭) এবং অনুরাগ চোপড়ার (৩৩) মত। তবে এই দুই ফ্যান শুধু টিকিট পেয়েই ক্ষান্ত হননি, রাশিয়ার মাঠে ভারতীয় পতাকা ওড়ানোর নিজেদের স্বপ্নকেও বাস্তব রূপ দিয়েছেন। আপাতত নিজেদের এই অভিজ্ঞতাকে একটি 'ইমোশনাল জার্নি' বলছেন এই যুগল। ২০ জুন মস্কোতে পর্তুগাল-মরক্কো, ২৩ জুন সোচিতে জার্মানি-সুইডেন এবং ২৬ জুন সেন্ট পিটারসবার্গে আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়ার সম্মুখসমরের সাক্ষী থেকেছেন পরমবীর-অনুরাগ।
পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের আইনজীবী পরমবীর জানান, "জানুয়ারির প্রথমদিকেই আমরা সিদ্ধান্ত নিই খেলা দেখতে যাওয়ার। তবে টিকিট পাই মে-তে, একদম শেষসময়ে। তখন টিকিটের দাম ছিল ১৭,০০০ এবং ২১,০০০ টাকা। এটা আমাদের কাছে স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মত ব্যাপার। সোচিতে জার্মানি-সুইডেনের ম্যাচে আমরা ভারতের পতাকা ওড়াচ্ছিলাম দেখে জার্মান সর্মথকরা উৎসাহিত করছিলেন। এমনকি আমাদের স্মারকও দেন তারা। আবার আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া ম্যাচের সময় এক আর্জেন্টাইন ফ্যানকে ভারতীয় দলের জার্সি দিয়েছিলাম।"
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/05/Messi-and-Ronaldo.jpg)
ফিফা বিশ্বকাপের প্রায় ৫৪ শতাংশ টিকিট ধার্য থাকে আন্তর্জাতিক ফ্যানেদের জন্য, তার মধ্যেই ১৯,৯৬২টা টিকিট কিনেছেন ভারতীয় ফুটবল প্রেমীরাই। সঞ্চালক দেশ রাশিয়া মোট ৮,৭২,৫৭৮ টিকিট বিক্রি করেছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি টিকিট কিনেছেন আমেরিকা এবং চিনের দর্শক। তারপর রয়েছে ভারত।
আরও পড়ুন: FIFA World Cup 2018: উঠল বাই তো রাশিয়া যাই
সমস্যা একটাই, ফিফার শেষ বিশ্ব র্যাঙ্কিং-এর তালিকায় ভারত ৯৭ নম্বরে। কোনদিন বিশ্বকাপে খেলার ধারেকাছেও যাবে কী না জানা নেই। এই প্রসঙ্গে অনুরাগ, যিনি পরমবীরের মতই পাঞ্জাব ও হরিয়ানা কোর্টের আইনজীবি, বলেন, "যতই ভারতীয় দল ৯৭ র্যাঙ্ক করুক না কেন, আর কোনদিন বিশ্বকাপ না জিততে পারুক, তবুও প্রত্যেকে জানতে চেয়েছেন ভারতীয় ফুটবলের বিষয়ে। তবে আমরা যেহেতু রোনাল্ডো এবং মেসির ফ্যান, তাই তাদের সমর্থনও করছিলাম। তাতে বাকি ফ্যানরা আমাদের সঙ্গে আনন্দই করছিল। রাশিয়ায় সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম, মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে ম্যাচ দেখাটা সারাজীবন মনে থাকবে। ৮১,০০০ ফ্যানেদের সঙ্গে নিজেদের পছন্দের খেলোয়াড়দের জন্য গলা ফাটানোর একটা আলাদা অনুভূতি আছে।"