বিগত কয়েক দফা বৈঠকেও মেলেনি সমাধান। কেন্দ্রীয় কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে চরম আন্দোলনের পথে কৃষকরা। এই পরিস্থিতিতে আজ, শনিবার ফের কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে আন্দোলনকারীদের। তবে, এদিনের এই বৈঠক থেকে আদৌ কোনও সমাধান সূত্র মেলে কিনা তা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠছে। দুপুর দু'টোয় আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা, তার আগে শনিবার সকালে প্রদানমন্ত্রীর বাসভনে পৌঁছন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও কেন্দগ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার।
পঞ্চম দফার আলোচনার আগে নিজেদের অবস্থান শক্ত করে আগামী মঙ্গলবার ভারত বনধ ডাকল কৃষক সংগঠনগুলি। সেদিন দিল্লিতে টোল প্লাজাগুলি তারা দখল করে নেবেন, আগেই সেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন দিল্লি-হরিয়ানা সীমানার কৃষকরা।
কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার বলেছেন, 'আশা করব কৃষকরা সদর্থক চিন্তা-ভাবনা করবেন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রত্যাহার করবেন।'
মোদী সরকারের তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আজ দশম দিনে পড়ল কৃষকদের প্রতিবাদ। চাষীদের পক্ষ থেকে সরকারের যাবতীয় প্রস্তাব এখনও পর্যন্ত খারিজ করা হয়েছে। আইন প্রত্যাহার ও ন্যূনতম সহায়ক মূল্যকে আইনি স্বীকৃতি দানের দাবিতে অনড় কৃষকরা। অন্যদিকে আইনে সংশোধন করতে রাজি হলেও তা প্রত্যাহারে নারাজ কেন্দ্র। চলছে উভয় পক্ষের দর কষাকষি। এই পরিস্থিতিতে নজরে শনিবারের কন্দ্র-আন্দোলনকারী কৃষক সংগঠনগুলোর মধ্যে তৃতীয় দফার বৈঠক।
এদিকে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন যোগাচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। সংসদে এই ইস্যুতে জরুরি ভিত্তিতে আলোচনার দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস। এ ইস্যুতে পদ্মবিভূষণ সম্মান ফিরিয়েছেন অকালি দলের নেতা তথা পাঞ্জাবের ৫ বারের মুখ্য়মন্ত্রী প্রকাশ সিং বাদল।
তৃণমূলের তরফেও আন্দোলনকারী কৃষকদের পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার তৃণমূল নেত্রী বিক্ষোভকারী কৃষকদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। কেন্দ্রের দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আর্জি আর্জি জানিয়েছেন মমতা। রাজধানী সীমান্তের কৃষকদের আন্দোলনে কলকাতায় টানা তিন দিন (৮,৯,১০ ডিসেম্বর) অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা করেছে জোড়া-ফুল শিবির। বিহারের প্রধান বিরোধী দল আরজেডিও কৃষকদের সমর্থনে এদিন কর্মসূচি পালন করবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন