Advertisment

#MeToo মামলা করে চুপ করাতে চাইছেন আকবর, লড়াই জারি থাকবে: প্রিয়া রামানি

আকবরের এই আইনি পদক্ষেপে কোনও মতেই দমতে নারাজ প্রিয়া রামানি। বরং তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি এ লড়াই লড়বেন এবং সত্যই তাঁর একমাত্র রক্ষণ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

তিনি এ লড়াই লড়বেন বলে জানিয়েছেন প্রিয়া রামানি।

কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা প্রাক্তন সম্পাদক এম.জে. আকবরের দায়ের করা ফৌজদারি মানহানির মামলাকে 'চুপ করানোর' চেষ্টা হিসাবে দেখছেন তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করা সাংবাদিক প্রিয়া রামানি। মোট ১০ মহিলা আকবেরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগ করলেও, প্রিয়াই সর্বপ্রথম আকবরের নাম উল্লেখ করেছিলেন। এরপর গতকালই দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ আদালতে প্রিয়ার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মানহানির মামলা করেন আকবরের আইনজীবী সংস্থা। কিন্তু, আকবরের এই আইনি পদক্ষেপে কোনও মতেই দমতে নারাজ প্রিয়া রামানি। বরং তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি এ লড়াই লড়বেন এবং সত্যই তাঁর একমাত্র রক্ষণ।

Advertisment

একাধিক মহিলার তোলা অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত জবাব না দিয়ে এম.জে. আকবর যে আইনি পথে হাঁটলেন, সেটা থেকেই তাঁর উদ্দেশ্য স্পষ্ট বলে মনে করছেন রামানি। এই সাংবাদিকের কথায়, "আইনি পদক্ষেপ নিয়ে তিনি আদতে অভিযোগকারিণীদের ভয় দেখাতে এবং হেনস্থা করতে চান"। মহিলাদের তোলা সব অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে আকবরের মতো এক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এর মধ্যে 'রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে'র গন্ধ পাওয়ায় হতাশ হয়েছেন ইন্ডিয়া টু ডে, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এবং মিন্ট-এ কাজ করা সাংবাদিক প্রিয়া রামানি। উল্লেখ্য, ১৪ অক্টোবর (রবিবার) দেশে ফিরে আকবর তাঁর বিরুদ্ধে সব অভিযোগকে 'অসত্য, বানানো' বলে খারিজ করে দেন। এরপরই তিনি প্রশ্ন তোলেন, এই সব অভিযোগ কেন ঠিক লোকসভা ভোটের আগেই তোলা হচ্ছে? অর্থাৎ আকবরের ইঙ্গিত থেকেই স্পষ্ট যে তিনি এর পিছনে 'রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের' গন্ধ পাচ্ছেন।

আরও পড়ুন- #MeToo: প্রিয়া রামানির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মানহানির মামলা করলেন এম.জে. আকবর

এদিকে, #MeToo আন্দোলনে এম.জে. আকবরের বিরুদ্ধে এমন মারাত্মক অভিযোগ ওঠায় বিজেপি-কে নিশানা করতে ময়দানে নেমে পড়েছে কংগ্রেস। সোমবারই কংগ্রেসের তরফে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে প্রশ্ন করা হয়েছে, তিনি রামানির বিরুদ্ধে তাঁর মন্ত্রী আকবরের ফৌজদারি মানহানির মামলাকে সমর্থন করেন কি না? কংগ্রেসের মুখপাত্র আর.পি.এন. সিং বলেন, "অতীতে আমরা দেখেছি উত্তরপ্রদেশের এক বিধায়ক তারই কেন্দ্রের একটি মেয়েকে ধর্ষণ করেছে এবং যোগী আদিত্যনাথ তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীও তাঁর দলের সেই বিধায়ককে বরখাস্ত করেননি এবং এ বিষয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি। বিহারের হোমের ক্ষেত্রেও একইভাবে নিশ্চুপ ছিলেন তিনি (মোদী)। তাই এবার তাঁকে অবস্থান স্পষ্ট করতেই হবে"। নরেন্দ্র মোদীর 'সাধের' বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও প্রকল্পের কথা বলেও কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস। তাদের দাবি, দেশে এই যদি 'বেটি'দের অবস্থা হয়, তাহলে নমো কাকে পড়াবেন এবং বাঁচাবেন?

Read this story in English

Advertisment