Advertisment

বিচারপতির বিরুদ্ধে টুইটের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা বিবেক অগ্নিহোত্রীর, স্বশরীরে হাজিরার নির্দেশ আদালতের

ক্ষমা চেয়েও পার পেলেন না বিবেক।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Vivek Agnihotri

বিবেক অগ্নিহোত্রী

বিচারপতি এস মুরলীধরের বিরুদ্ধে টুইট করার জন্য দিল্লি হাইকোর্টের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা বিবেক অগ্নিহোত্রী। মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য হয়েছে ২০২৩ সালের মার্চে। ওই দিন স্বশরীরে উপস্থিত থাকার জন্য মঙ্গলবার বিবেক অগ্নিহোত্রীকে নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি আদালত। আদালত তাঁর টুইট সংক্রান্ত একটি সুয়ো মোটো ফৌজদারি অবমাননা মামলার শুনানি করছিল। এই ব্যাপারে হাইকোর্টে বিবেক অগ্নিহোত্রীর আইনজীবী বিচারপতি সিদ্ধার্থ মৃদুল ও বিচারপতি তালওয়ান্ত সিংয়ের একটি ডিভিশন বেঞ্চকে জানিয়েছেন যে তাঁর মক্কেল হলফনামার মাধ্যমে ওই, 'টুইটগুলোর জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন।' পালটা আদালত জানিয়েছে, 'আমাদের শুধুমাত্র আপনার মক্কেলের উপস্থিতি প্রয়োজন।'

Advertisment

এই বিষয়ে অ্যামিকাস কিউরি, সিনিয়র অ্যাডভোকেট অরবিন্দ নিগম হাইকোর্টকে জানিয়েছেন যে অগ্নিহোত্রীর হলফনামা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টুইটারের জমা দেওয়া হলফনামা থেকে আলাদা। অরবিন্দ নিগম আদালতে বলেন, 'তিনি (অগ্নিহোত্রী) বলেছেন যে তিনি টুইটগুলো সরিয়ে নিয়েছেন। টুইটার বলছে তারা সেগুলো সরিয়েছে। তিনি যা দাবি করেছেন তা টুইটারের বক্তব্যের সম্পূর্ণ উলটো।' টুইটার তার হলফনামায় জানিয়েছে যে ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর, হাইকোর্টের আদেশ অনুসারে সংস্থা অগ্নিহোত্রীর টুইটগুলো সরিয়ে ফেলেছে। নিগম আরও জানিয়েছেন, এই মামলায় অগ্নিহোত্রী উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু, পরে তিনি আসা বন্ধ করে দেন।

এরপরই হাইকোর্ট অগ্নিহোত্রীর আইনজীবীকে নির্দেশ দেন, তাঁর মক্কেলকে স্বশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে। বিচারপতি মৃদুল বলেন, 'যদি তাঁকে অনুশোচনা করতে হয়, তাহলে তা আমাদের সামনেই করতে হবে।' অগ্নিহোত্রী তার নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা প্রকাশ করে একটি হলফনামা দাখিল করেছেন। পাশাপাশি, অবমাননার মামলার শুনানিতে অংশগ্রহণের অনুমতি চেয়েছেন। আদালত অগ্নিহোত্রীর অংশগ্রহণের আবেদন মেনে নিয়েছে। একইসঙ্গে তাঁকে ২০২৩ সালের মার্চে শুনানির পরবর্তী তারিখে আদালতে স্বশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

আরও পড়ুন- ভোট আসলেই এক্সিট পোল নিয়ে নাচানাচি, জিনিসটা কী, কীভাবে চলছে এসব?

এই ঘটনার সূত্রপাত ২০১৮ সালে। সেই বছরের অক্টোবরে, বিচারপতি এস মুরলীধরের নেতৃত্বে একটি ডিভিশন বেঞ্চ, ভীমা কোরেগাঁও মামলায় ধৃত সমাজকর্মী গৌতম নাভলাখাকে গৃহবন্দিদশা থেকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিল। বিচারপতি মুরলীধর তখন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন। এরপর ২০১৮ সালের ৫ অক্টোবর, বিচারপতি মুরলীধরের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করে টুইট করেছিলেন গৌতম নাভলাখা। বর্তমানে তিনি ওড়িশা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি।

Read full story in English

Court Order Delhi High Court Bibek Agnihotri
Advertisment