কৃষি আইন নিয়ে কংগ্রেস-সহ রাহুল গান্ধীর অবস্থানকে কটাক্ষ করলেন নির্মলা সীতারমণ। এদিন বাজেট বক্তৃতার পর প্রথমবার চলতি অধিবেশনে বলতে ওঠেন অর্থমন্ত্রী। বক্তব্যের শুরু থেকেই এদিন রাহুল গান্ধীর প্রতি আক্রমণাত্মক ছিলেন নির্মলা সীতারমণ। তিনি বলেন, "কংগ্রেস জানেই না কৃষক আন্দোলন নিয়ে তাদের অবস্থান ঠিক কী!' তাঁর কটাক্ষ, 'রাহুল গান্ধী যখন বলতে উঠলেন আমার একটা প্রত্যাশা ছিল। ঠিক কেন ও ইউ-টার্ন নিয়ে এই আন্দোলনকে সমর্থন করছেন যেখানে কংগ্রেস ইস্তাহারে কৃষি বিলে একই সংস্কারের কথা বলা ছিল। যে সংস্কার মোদী সরকার করেছেন চলতি আইনে।'
তিনি মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস পরিচালিত কমল নাথ সরকারকে আক্রমণের নিশানা করেন। সীতারমণ বলেন, 'ক্ষমতায় আসার জন্য কংগ্রেস মধ্যপ্রদেশের কৃষকদের কৃষি ঋণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতায় এসে সে কথা ভুলে গিয়েছিল।'
এদিন বাজেট বক্তৃতার ওপর বলতে গিয়ে সীতারমণ বলেছেন, 'অতিমারী লকডাউনের মধ্যেও আমরা আর্থিক সংস্কার করে গিয়েছি। কোনও সুযোগ হাতছাড়া করেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।' তাঁর দাবি, 'বাজেটে যে সংস্কারগুলোর কথা বলা হয়েছে, তাতে ভর করেই ভারত আগামি দিনে আত্মনির্ভর হবে। বিশ্বে অন্যতম আর্থিক সাবলম্বী দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে।'
এদিকে, শনিবার ছিল সংসদের বাজেট অধিবেশনের প্রথম লেগের শেষ দিন। আগামী ৮ মার্চ পর্যন্ত মুলতুবি করা হয়েছে সংসদের দুই কক্ষ।
সংসদে যখন কৃষি আইন নিয়ে তরজা এদিকে,
দু’মাস ধরে চলা অহিংস আন্দোলন হঠাৎ করেই হিংসাত্মক হয়ে উঠেছিল। ২৬ জানুয়ারির ঘটনায় দাগ লেগেছে কৃষক আন্দোলনের গায়ে। জঙ্গি সংগঠন খালিস্থানীরা প্রতিবাদী কৃষকদের মদত দিচ্ছি বলে অভিযোগ করে প্রশাসন। যা উড়িয়ে দিলেও সতর্ক কৃষক নেতারা। চরমপন্থীরা কেন্দ্র বিরোধী কৃষক আন্দোলনকে নিয়ন্ত্রণ করে যাতে সরকারের হাত শকত্ করতে না পারে তার জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে দূরে থাকার আবেদন করেছেন পাঞ্জাবের চাষীরা।
হোশিয়ারপুরের কৃষক লাখবীর সিং, যিনিপ্রতিদিন সিঙ্ঘু সীমানায় ধর্নায় থাকেন তাঁর বক্তব্য, ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বা খালিস্থানীরা যদি সত্যিই কৃষকদের মঙ্গল চান তাহলে যেন তাঁরা নিজেদের আদর্শ অনুসারে এই আন্দোলন সম্পর্কে কোনও মন্তব্য না করেন। কৃষক আন্দোলনের কালো দিক বার করতে সরকার তৎপর। ওদের রূঢ় মন্তব্যের সঙ্গে আমাদের আন্দোলনকে জড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।’