মহারাষ্ট্রের সোলাপুরে 'লাভ পাকিস্তান' লেখা বেলুন বিক্রিকে কেন্দ্র করে তদন্ত চালাচ্ছে মহারাষ্ট্র পুলিশের বিশেষ দল। বেলুন বিক্রির ঘটনায় FIR দায়ের করা হলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয় নি বলেই জানিয়েছে সোলাপুরের পুলিশ কমিশনার রাজেন্দ্র মানে। তিনি দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, “এই মামলায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আমরা বেলুন বিক্রেতাকে নোটিশ দিয়েছি।” তিনি যোগ করেছেন ‘তদন্তের অংশ হিসাবে, তারা বেলুনগুলি কোথা থেকে আনা হয়েছে এবং তা কী উদ্দেশ্যে আনা হয়েছে তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা চলছে’।
আধিকারিক আরও বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে বেলুন বিক্রেতা পুলিশকে জানায় বেলুনগুলি মুম্বইয়ের একটি দোকান থেকে কেনা হয়েছিল। “যখন আমাদের দল সেই নির্দিষ্ট দোকানে গিয়েছিল, তখন মালিক অসুস্থ ছিলেন কিন্তু তার ছেলে আমাদের জানায় বেলুনগুলি মুম্বইয়ের ‘চায়না মার্কেট’ থেকে কেনা হয়েছে। তবে আমাদের কর্মকর্তারা সেখানে পৌঁছালে বাজারটি বন্ধ হয়ে যায়। বেলুনগুলি কোথা থেকে এসেছে তা খুঁজে বের করতে আমাদের অফিসাররা আবার সেখানে যাবেন,”।
এআইএমআইএম নেতা রিয়াজ সৈয়দ দাবি করেছে, বিক্রেতা হিন্দু, তিনি অশিক্ষিত। হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে উত্তেজনা তৈরির ষড়যন্ত্রে কেউ বা কারা ওই বেলুন বিক্রেতাকে বেলুনগুলি দিয়েছিলেন। তাকে এই বেলুনগুলো কে দিয়েছে তা খুঁজে বের করা দরকার’।
মহারাষ্ট্রের সোলাপুর শহরে ২৯ জুন, বৃহস্পতিবার 'লাভ পাকিস্তান' লেখা বেলুন বিক্রির খবর সামনে আসতেই তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এআইএমআইএম নেতা রিয়াজ সৈয়দ বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি বেলুন বিক্রি করছে তার গায়ে 'লাভ পাকিস্তান' লেখা বেলুন জড়িয়ে তিনি তা বিক্রি করছিলেন। তিনি নিজে একজন হিন্দু। এক মুসলিম ব্যক্তি যিনি নামাজ পড়তে এসেছিলেন বিষয়টি প্রথম দেখেছিলেন। এরপর তিনি এই বিষয়ে পুলিশকে জানান। সোলাপুরের রয়্যাল আলমগীর ইদগাহ মাঠের কাছে বিক্রি হচ্ছিল এই বেলুনগুলি’।
রিয়াজ সৈয়দ আরও বলেন, ‘কেউ পাকিস্তানের প্রতি ভালোবাসা দেখিয়ে বেলুন বিক্রি করে শহরে সামাজিক উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এমন ঘৃণ্য প্রচেষ্টার মাধ্যমে দাঙ্গাকে উসকে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে’। এসব বেলুন কীভাবে বাজারে এসেছে, কারা তৈরি করেছে এবং কীভাবে বিক্রির জন্য বাজারে এল তা পুলিশকে খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন রিয়াজ সৈয়দ। এই ঘটনায় বেলুন বিক্রেতা, অজয় আমান পাওয়ার এবং শিবাজি পাওয়ার সহ তানভীর নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে FIR দায়ের করা হয়েছে। সেই FIR-এর ভিত্তিতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।