মঙ্গলবারের ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ২৪ ঘন্টা। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১১ জনের আহত হয়েছেন মোট ১৭৪ জন।স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মধ্যপ্রদেশের হরদার বৈরাগড় এলাকায় ওই কারখানায় বিস্ফোরণের ভয়াবহ আঁচ পড়েছে লাগোয়া এলাকায়। আগুনের লেলিহান শিখা পার্শ্ববর্তী এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে লাগোয়া কমপক্ষে ৬০টি বাড়ি পুড়ে গেছে। কারখানায় লাগাতার বিস্ফোরণের মধ্যেও প্রশাসনের কর্মীরা এলাকার শতাধিক বাড়ির বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যান। আতসবাজি কারখানায় পরপর বিস্ফোরণের জেরে সেখানে থাকা বহু গাড়ি ও বাইকও পুড়ে যায়।
কারখানার মালিক সোমেশ আগরওয়াল এবং রাজেশ আগরওয়ালকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। কারখানার শ্রমিকরা বলেছেন ভবনটিতে কোন অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না। সকাল সাড়ে ১১টার নাগাদ কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ধোঁয়া, আগুন ও ধ্বংসাবশেষের কারণে উদ্ধারকার্য কিছুটা ব্যাহত হয়।
পুলিশের এই শীর্ষ আধিকারিক দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন “এই কারখানার চারটি লাইসেন্স ছিল এবং তার মধ্যে একটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। লাইসেন্সগুলির মধ্যে দুটি কেন্দ্রীয় সরকার এবং দুটি রাজ্য সরকার থেকে জারি করা হয়েছিল। কারখানার বিরুদ্ধে ২০১৫ এবং ২০১৮ সালেও মামলা দায়ের করা হয়৷ আমরা সেই অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখছি,”
ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব। প্যানেলের নেতৃত্বে থাকবেন প্রধান সচিব (স্বরাষ্ট্র) সঞ্জয় দুবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করে নিহতদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।রাজ্য সরকার মৃতদের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।শ্রমিকরা জানিয়েছেন বেশিরভাগই দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কারখানায় কাজ করতেন। এই অঞ্চলে চাকরির অভাবের কারণে, আতশবাজির কারখানাটি অনেকের কর্মসংস্থানের একমাত্র উৎস ছিল এবং অনেকের পুরো পরিবার দোতলা এই ভবনে কাজ করতেন।