Advertisment

করোনায় ছেয়েছে তিলোত্তমা! শহর সুস্থ করতে বৈঠকে ফিরহাদ-সহ কোঅর্ডিনেটররা

কিছুটা স্বস্তি দিয়ে দেশে কমল দৈনিক সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে তিন লক্ষের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Covid-19 in Kolkata, Firhad Hakim, Corona India, Corporation

ভোটের ফলে জয় নিশ্চিত হতেই ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন দায়িত্ব আরও বাড়ল। বাংলার মানুষকে করোনামুক্ত করাই আমাদের উপলক্ষ্য। সেই ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মাথাতেই শহরের প্রাক্তন মেয়র হিসেবে বৈঠকে বসছেন ববি হাকিম। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকছেন পুর এলাকার অন্য নির্বাচিত কাউন্সিলররা। যারা এখন ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর হিসেবে কাজ সামলাচ্ছেন। বিকেল ৪টে থেকে এই বৈঠক শুরু হয়েছে।

Advertisment

সংক্রমণ ঠেকাতে কলকাতায় প্রশাসনের তরফে কী কী পদক্ষেপ, তা-ই বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় হতে চলেছে। এমনটাই সুত্রের খবর। এ ব্যাপারে সোমবারই দলের বিধায়কদের কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জয়ী বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে জানিয়েছিলেন, কলকাতার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অবিলম্বে পদক্ষেপ করতে হবে।

কলকাতার ১১ জন নবনির্বাচিত বিধায়ক এবং কলকাতা সংলগ্ন এলাকার আরও ৬ জন বিধায়ককে এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন মমতা। বিষয়টির তত্ত্বাবধানের ভার দেওয়া হয়েছিল ফিরহাদকে। সেই নির্দেশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পদক্ষেপ করলেন কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র ফিরহাদ।

রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক পদ থেকে সরতে হয়েছে ফিরহাদকে। পুরসভার প্রশাসক পদে থাকা অন্যান্য কর্তারাও এখন ‘প্রাক্তন’। তবে যেহেতু এর আগের করোনা পরিস্থিতি তাঁরাই সামলেছেন, তাই ফিরহাদের বৈঠকে উপস্থিত থাকছেন পুরসভার ওই প্রাক্তন কো-অর্ডিনেটররাই।

রাজ্যে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত কলকাতায়। গত পাঁচদিন ধরে কলকাতায় দৈনিক সংক্রমণ ৪ হাজার ছুঁইছুঁই। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ ঠেকাতে নতুন প্রশাসন কী কী ব্যবস্থা নিতে চলেছে সেদিকে নজর রয়েছে গোটা রাজ্যের। মমতা আগেই জানিয়েছেন করোনা পরিস্থিতিই এই মুহূর্তে তাঁর কাছে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে গুরুত্ব পাবে। রাজ্যে করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে শপথেও আড়ম্বর বাদ রেখেছেন মমতা

এদিকে, কিছুটা স্বস্তি দিয়ে দেশে কমল দৈনিক সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে তিন লক্ষের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় কিছুটা নিম্নমুখী সংক্রমণের হার। দেশে সবমিলিয়ে মোট আক্রান্ত ২ কোটি ছাড়িয়ে গেল।

এই নিয়ে দৈনিক সংক্রমণ চার লক্ষ ছাড়ানোর পর টানা তিনদিন কমল আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৩,৪৪৯ জনের। দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ২.২২ লক্ষের বেশি। আশার আলো মহারাষ্ট্রে। গত তিরিশ দিনে প্রথমবার দৈনিক সংক্রমণ ৪৮ হাজারের নিচে। মৃত্যুও কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৫৬৭ জনের।

দেশে এই মুহূর্তে ৩৪ লক্ষের বেশি সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছে। সুস্থ হয়েছেন প্রায় ১.৬৬ কোটি মানুষ। এদিকে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী দেশে করোনার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে ফের একবার কেন্দ্রকে তুলোধোনা করলেন। টুইট করে জানালেন, “কেন্দ্রীয় সরকার বুঝতে পারছে না, করোনা সংক্রমণ আটকানোর এখন একটাই রাস্তা, দেশজুড়ে সম্পূর্ণ লকডাউন।”

সেইসঙ্গে তিনি আরও লিখেছেন, “গরিব-দুস্থ শ্রেণির মানুষের হাতে ন্যূনতম আর্থিক সাহায্য দিতে হবে।” সরকারের অবহেলা বহু নিরীহ মানুষকে মারছে। এর আগে কংগ্রেসের তরফে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আবেদন জানানো হয়, বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ত্রাণসামগ্রীর বিস্তারিত বিবরণ জনসমক্ষে আনা হোক।

Firhad Hakim Corona India Kolkata Municipal Corporation
Advertisment