Advertisment

নিয়ন্ত্রণরেখায় পাক গোলাবর্ষণে আহত পাঁচ সেনা জওয়ান

গোলাগুলির তীব্রতা বাড়লে যাতে নৌশেরা সেক্টরের সীমান্তবর্তী গ্রামের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তা নিশ্চিত করতে রাজৌরি জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে ত্রিশটি নিরাপদ স্থান চিহ্নিত করেছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরের আখনুর অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে পাকিস্তানের তরফে ভারী বোমাবর্ষণে জখম হয়েছেন কমপক্ষে পাঁচজন ভারতীয় জওয়ান, জানাচ্ছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। নৌশেরা এবং মেনধার এলাকায় ভারতের ফরোয়ার্ড পোস্টের ওপর মর্টার শেলিং বা বোমাবর্ষণ চালায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী।

Advertisment

সূত্রের খবর, পাক সেনার তরফে বোমাবর্ষণ যথেষ্টই তীব্র ছিল। যদিও ১২ ঘন্টার সাময়িক বিরতির পর এই বোমাবর্ষণ শুরু হয়েছিল, কারণ, পাক বাহিনী স্বতঃপ্রণোদিতভাবে পুঞ্চের গুলপুর অঞ্চলে গুলি এবং মর্টার নিক্ষেপ শুরু করেছিল সোমবার মধ্যরাত থেকে দেড়টা পর্যন্ত। পার্শ্ববর্তী রাজৌরি জেলার নৌশেরা সেক্টরে পাক বাহিনী গত বেশ কয়েকদিন ধরেই গুলি-মর্টার চালাচ্ছে। তবে আখনুর সেক্টরে যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘিত হল প্রায় তিন মাস পরে।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে 'তৈরি থাকা'র বার্তা ইমরানের, 'সুযোগ বুঝে জায়গা মতো জবাব দেওয়া হবে'

ভারতীয় সেনা প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রত্যুত্তর দিচ্ছে বলেও সূত্রের খবর। সূত্রের থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানি রেঞ্জাররা হঠাৎ করেই বিনা প্ররোচনায় কাননচক এলাকায় গুলি চালাতে শুরু করে, যার ফলে পাল্টা গুলি চালাতে বাধ্য হয় বিএসএফ। গুলি বিনিময় এখনো চলছে, এবং একজন রেঞ্জারের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

গোলাগুলির তীব্রতা বাড়লে যাতে নৌশেরা সেক্টরের সীমান্তবর্তী গ্রামের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তা নিশ্চিত করতে রাজৌরি জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে ত্রিশটি নিরাপদ স্থান চিহ্নিত করেছে।

অন্যদিকে, বালাকোটে জৈশ-এ-মহম্মদ ঘাঁটির ওপর ভারতীয় বায়ুসেনা হানার প্রেক্ষিতে রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক জম্মু ও কাশ্মীরের বর্তমান আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে সমস্ত নিরাপত্তা বাহিনীকে সারা রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্যবাসীকে শান্ত থাকার জন্য এবং অযথা ভীত না হওয়ার জন্য অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, সম্ভাব্য বিপদের ক্ষেত্রে সমস্ত অসামরিক রাজ্যবাসীর সুরক্ষার যেন দায়িত্ব নেয় নিরাপত্তা বাহিনী। তিনি রাজ্যবাসীর প্রতি আবেদন করেন, সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্যান্য মাধ্যমে ছড়ানো গুজবে যেন কেউ কান না দেন।

Advertisment