কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সফরের দিনই মণিপুরে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র দাঙ্গাবাজদের গুলির লড়াই বাধল। তার মধ্যেই এক ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মণিপুরের ইম্ফল পশ্চিম এবং কাংপোকপি জেলার সীমান্ত এলাকায় এই সংঘর্ষ হয়েছে। সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন যে কুকি গ্রামে হারাওথেলে হামলার পর ভোর ৫টা ৩০ নাগাদ এই গুলির লড়াই শুরু হয়। দাঙ্গাবাজরা গুলি ছুড়লে পালটা গুলি চালানো শুরু করেন এলাকায় মোতায়েন সেনাবাহিনীর জওয়ানরা।
এই প্রসঙ্গে সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেন, 'ঘটনাস্থলে যাওয়ার সময় আমাদের সেনাবাহিনীর জওয়ানদের লক্ষ্য করে সশস্ত্র দাঙ্গাবাজরা গুলি চালায়। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে পালটা গুলি চালান সেনার জওয়ানরা। জওয়ানদের দ্রুত পদক্ষেপের ফলে গোলাগুলি বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত বাহিনী পাঠানো হয়েছে।' তবে, সেনাবাহিনী স্বীকার না-করলেও অসমর্থিত সূত্রের খবর, ঘটনায় বেশ কিছু হতাহতের অভিযোগ উঠেছে। গুলিতে অন্তত একজন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তি মেইতেই সম্প্রদায়ের বলে খবর মিলেছে। সূত্রের খবর, সকাল ৯টা পর্যন্ত উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি চলেছে।
এই সব নিয়ে যখন পার্বত্য রাজ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে, তার মধ্যেই মণিপুরে পৌঁছন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি দু'দিনের সফরে মণিপুরে এসেছেন। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আজ সকালে ইম্ফল পৌঁছেছেন এবং ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করবেন এবং রাজ্যে সপ্তাহব্যাপী সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সাথে দেখা করবেন। এমনটাই কথা। কিন্তু, তিনি চুরাচাঁদপুর জেলায় যাওয়ার সময় হিংসা ছড়ানোর ভয়ে রাহুলের কনভয়কে পুলিশ বাধা দেয়।
আরও পড়ুন- মণিপুরে রাহুল গান্ধীর কনভয় আটকালো পুলিশ, প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন কংগ্রেসের
পুলিশ স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে রাহুলের কনভয়কে এগোতে দেয়নি বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনাটি রাহুল ভিডিও করে টুইট করেছেন। সেই টুইটের ভিডিওয় স্পষ্ট দেখা গিয়েছে যে পুলিশকে স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দেখা গিয়েছে। গোটা ঘটনায় মণিপুর এবং কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে রাহুল অভিযোগ জানিয়েছেন। ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মণিপুরের মহিলা কংগ্রেস কর্মীরাও।