রাশিয়ার তৈরি করোনার টিকা যাঁরা নিয়েছেন তাঁরাও বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। এমনটাই জানাল ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসারি গ্রুফ অফ ইমিউনাইজেশন বা এনটিএজিআই। প্রথমে বলা হয়েছিল, রাশিয়ার তৈরি টিকা যাঁরা নিয়েছেন, তাঁদের আর করোনার বুস্টার টিকা নিতে হবে না। কিন্তু, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সেই রাস্তা থেকে সরে এল এনটিএজিআই। রাশিয়ার করোনার টিকা স্পুটনিক-ভি ভ্যাকসিনের দু'টি আলাদা কম্পোজিশন রয়েছে।
এমনকী, কোউইন পোর্টালেও স্পুটনিক-ভি ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজের জন্য কোনও অংশ রাখা হয়নি। তার মধ্যে বহু স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন গ্রহীতা তাদের দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন গত বছর জুলাইয়ে। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও তারা বুস্টার ডোজ নিতে পারেননি। কারণ, কোউইন পোর্টাল তা শো করে না। স্পুটনিক-ভি ভ্যাকসিনের দু'টি ডোজ গ্রহীতাদের দেওয়া হয়েছে ২১ থেকে ৩০ দিন বা একমাসের মধ্যে। এরমধ্যে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজটিকে বলে রিকম্বিন্যান্ট অ্যাডেনোভাইরাস টাইপ ২৬ (rAd26-S) এবং দ্বিতীয় ডোজটিকে বলে রিকম্বিন্যান্ট অ্যাডেনোভাইরাস ৫ (rAd5-S)।
ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসারি গ্রুফ অফ ইমিউনাইজেশনের একটি স্থায়ী সাব কমিটি শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছে। তারপরই সব দিকে খতিয়ে দেখার পর রাশিয়ার টিকারও বুস্টার ডোজ দেওয়ার পক্ষে সুপারিশ করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তৈরি ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসারি গ্রুফ অফ ইমিউনাইজেশনে বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন। বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞরা টিকা ক্ষেত্রে সরকারের কী সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেন। আর, সেই আলোচনার নির্যাস হিসেবে সরকারকে কী করণীয়, তা সুপারিশ করেন। সেই সুপারিশই কার্যকর করে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের ছয় লক্ষেরও বেশি নাগরিক করোনা রুখতে রাশিয়ার টিকা নিয়েছেন।
ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন বয়সিদের ধাপে ধাপে করোনার টিকা দেওয়ার কাজ প্রায় শেষ করে এনেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বর্তমানে নাবালকদের মধ্যে যারা বাকি আছে, তাদেরকে টিকা দেওয়ার কাজ চলছে। তার সঙ্গেই দেশজুড়ে চলছে বুস্টার ডোজ দেওয়া। ইতিমধ্যেই ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার, বয়স্ক ব্যক্তিদের বেশিরভাগই করোনার বুস্টার ডোজ পেয়ে গিয়েছেন।
Read in English