Advertisment

মৃত্যু হল দেশে জন্মানো প্রথম পেঙ্গুইনের

পেঙ্গুইনের জন্মের পর প্রথম তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা দরকার। এই সময়ের মধ্যে সদ্যজাত পেঙ্গুইনের মৃত্যুর হার ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

যকৃতের সমস্যা নিয়েই জন্মেছিল ফ্লিপারের সন্তান

স্বাধীনতার সকালে মাহেন্দ্রক্ষণে জন্মেছিল খুদে ছানাটা। সদ্য বাবা মা হওয়া গর্বিত ফ্লিপার আর মিঃ মোল্টকে তখন পায় কে? কিন্তু বড় অকালেই সন্তানসুখ থেকে বঞ্চিত হল ওরা। দিন সাতেকের মধ্যেই প্রাণের স্পন্দন ফুরলো ভারতের মাটিতে জন্ম নেওয়া প্রথম পেঙ্গুইনের।

Advertisment

সদ্যোজাতের কী নাম দেওয়া হবে, তাই নিয়ে উত্তেজনা ছিল বাইকুল্লা চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের। কিন্তু সে সুযোগটুকুও হল না। প্রাথমিক ভাবে খুদের মৃত্যুর কারণ হিসেবে চিকিৎসকেরা বলেছেন, কিছু শারীরিক সমস্যা নিয়েই জন্মেছিল ফ্লিপার আর মোল্টের সন্তান। যদিও জন্মের পর পর একটু ওজন বেড়ে ৭৫ থেকে ৯৮ গ্রাম হয় সদ্যজাতের, জানিয়েছেন বাইকুল্লার ডিরেক্টর সঞ্জয় ত্রিপাঠী। বাবা-মায়ের যত্নআত্তির শেষ ছিল না। তবু ক্রমশ শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছিল তার। পশু চিকিৎসকদের দলও ভারতে জাত প্রথম হামবোল্টকে বাঁচানোর সব রকম চেষ্টাই করেছিলেন। কিন্তু ২২ শে আগস্ট থেকে চিকিৎসায় কোনও সাড়া মেলেনি। সেদিনই রাতে মারা যায় পেঙ্গুইন ছানাটি।

আরও পড়ুন, দেশে প্রথমবার জন্ম নিল পেঙ্গুইন, সাক্ষী বাইকুল্লা চিড়িয়াখানা

মুম্বই-এর বাইকুল্লা চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়েছিল, পেঙ্গুইনের জন্মের পর প্রথম তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা দরকার। এই সময়ের মধ্যে সদ্যজাত পেঙ্গুইনের মৃত্যুর হার ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ। শেষের কটা দিন খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়েছিল ফ্লিপারের সন্তান। ১০-১২ ঘণ্টার মধ্যেই ওজন কমতে থাকে ক্রমশ। বুধবার রাতটাও গড়ায়নি আর। বিশেষজ্ঞদের দল বলছে, পেঙ্গুইন এমনিতেই একটু আগে প্রজননক্ষম হয়। ফ্লিপার আর মোল্টের ক্ষেত্রে সেটা আরও আগে হয়েছে। সম্ভবত এই কারণেই ডিম ফোটার আগে থেকেই অস্বাভাবিকত্ব ছিল। সদ্যজাতের যকৃতের সমস্যা ছিল বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

zoo
Advertisment