দীর্ঘ ৯ মাস অবস্থানের পর পূর্ব লাদাখে প্রথম দফার সেনা সরানোর প্রক্রিয়া শেষ করল ভারত ও চিন। প্যাংগং সো-র উত্তর ও দক্ষিণ দুই ভাগ থেকেই সমস্ত সেনা সরিয়েছে দুই পক্ষ, এমনটাই দাবি সরকারি সূত্রের। এবার শনিবার দুই পক্ষের সেনা কমান্ড্যার লেভেলের বৈঠক হবে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা নিয়ে। দশম রাউন্ডের এই বৈঠক প্রথম দফার সেনা সরানো প্রক্রিয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই করতে হবে। চিনা অধিকৃত চুসুল-মল্ডো সীমান্তে শনিবার সকাল দশটায় শুরু হবে এই বৈঠক।
শীর্ষ সেনা আধিকারিক সূত্র দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, ভারত-চিন দুই পক্ষই ১৯ ফেব্রুয়ারি, অর্থাৎ শুক্রবারের মধ্যে প্রথম ধাপ শেষ করতে চুক্তিবদ্ধ ছিল। এবং ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দুই পক্ষের বৈঠকে বসার কথা। চার দফায় এই সেনা সরানোর প্রক্রিয়া চলবে। প্রথমে সশস্ত্র বাহিনী পিছিয়ে নিয়ে যাওয়া, তারপর আর্টিলারি এবং অন্যান্য ভারী সামরিক সরঞ্জাম এবং পদাতিক বাহিনী সরানো। এবারের বৈঠকে পেট্রলিং পয়েন্ট ১৫ ও ১৭এ, হট স্প্রিং-গোগরা এলাকা এবং ডেপসাং সমতল ভূমি থেকে সেনা সরানো নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
এদিকে, পূর্ব লাদাখের ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে গত বছরের গালওয়ান উপত্যকা সংঘর্ষে পাঁচ চিনা সেনা অফিসার ও জওয়ান নিহত হয়েছেন, শুক্রবার চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেছে এ কথা।
২০২০ সালের জুন মাসে লাদাখের গালওয়ানে চিনের সঙ্গে ভারতের সেনাদের রুদ্ধশ্বাস সংঘাতে চিনেরও বেশ কয়েকজন সেনা নিহত হন বলে ভারতের তরফে এমন দাবি বরাবরই করা হয়েছে। যদিও তা নিয়ে কার্যত মুখই খুলতে চায়নি চিন। তবে এবার কিছুটা বাধ্য হয়েই মাথা নত করল চিন। জানিয়ে দিল গালওয়ান সংঘাতে নিহত লালফৌজ জওয়ানদের নাম।
চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস সূত্রে খবর, কারাকোরাম পর্বতমালায় মোতায়েন মোট ৪ সামরিক বাহিনীর আধিকারিকের মৃত্যুর খবর স্বীকার করেছে চিনের ‘সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশন’। এর আগে মৃত সৈনিকদের নাম প্রকাশ না করায় দেশেই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল শি জিনপিং প্রশাসনকে। তাই চাপের মুখেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন