ইলিশ মাছ সহ অন্যান্য মাছের সংকট দেখা দিয়েছে ত্রিপুরার বাজারে। ২0 দিন ধরে বন্ধ বাংলাদেশ থেকে মাছের রপ্তানি। "৫ সেপ্টেম্বর ২২ লাখ টাকার ১০,০০০ কেজি মাছ নষ্ট হয়ে যায়। যে কারণে ত্রিপুরাতে মাছ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এই মুহূর্তে," বলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কাস্টমস আধিকারিক।
তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশে মাছ রপ্তানিকারকরা সীমান্ত পারাপারের সময় অতিরিক্ত নিরাপত্তা চান।" বর্তমানে বিবাদের নিষ্পত্তি করার জন্য বুধবার ভারত ও বাংলাদেশের মাছ ব্যবসায়ীরা আলোচনায় বসতে চলেছেন। সীমান্তের এক বাংলাদেশী ব্যবসায়ী প্রচার মাধ্যমকে জানান, আগরতলা-আখাউড়া সীমান্তে কিছু লোক ব্যবসায়ীদের থেকে বেআইনী ভাবে মোটা অঙ্কের তোলা চায়। দিনের পর দিন দিন চলতে থাকা এই দুর্নীতি বন্ধ করতে তৎপর হয়ে ওঠেন ব্যবসায়ীরা। যার ফলে সীমান্তবর্তী এলাকায় বাধে বিবাদ।
আগরতলা-আখাউড়া চেকপোস্ট দিয়ে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় সুস্বাদু ইলিশ ছাড়াও প্রায় ১৪,০০০ থেকে ১৫,০০০ কেজি বিভিন্ন মাছ আমদানি করা হয়ে থাকে। মাছের ব্যবসায়ীরা বলেন, বাংলাদেশ থেকে আমদানি না হওয়ার কারণে গত ২০ দিনে ২০০ জনেরও বেশি লোডিং এবং আনলোডিং করার শ্রমিক ও সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েছেন।
ইতিমধ্যে শিল্প ও বাণিজ্য বিভাগের ও আগরতলা বন্দরের কর্মকর্তারা এই বিতর্কিত বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। এদিকে, আগরতলা ল্যান্ড পোর্ট অথরিটির একজন কর্মকর্তা জানান, অনেকদিন আগেই বাংলাদেশ তাদের জাতীয় মাছ ইলিশ রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে, যার মূল বাজারগুলি ভারতের অন্তর্ভুক্ত। এদিকে বৈদেশিক বাজারের চাহিদা পূরণ করার জন্যও মূল ঘাঁটি তৈরি করা হয়েছে ভারতেই।
বাংলাদেশ থেকে ২০১২ সালের আগস্টে বাণিজ্য মন্ত্রকের নির্দেশে ইলিশ মাছ রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। আগরতলা ল্যান্ড পোর্ট অথরিটির এক কর্মকর্তা বলেন, "যদিও বাংলাদেশ সরকার ভারতকে ইলিশ মাছ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে, কিন্তু এখনও ত্রিপুরার সঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের সমস্যা সমাধান করা হয়নি।"
ত্রিপুরার স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীদের চাহিদা পূরণের জন্য অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে প্রতিদিন গড়ে ৩২,০০০ কেজি মাছ আমদানি করা হয়ে থাকে।