Hilsa Firming: প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে সাগর থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৎস্যজীবীদের জালে ধরা দিল ইলিশ। রবিবার সমুদ্র থেকে বিপুল ইলিশ নিয়ে নামখানায় পৌঁছয় মৎস্যজীবীদের ট্রলার। মৎস্যজীবী সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত তিন দিন ধরে প্রায় ছয় হাজার কেজি ইলিশ উঠেছে জালে।মৎস্য দফতর সূত্রে খবর, বাতাস এবং ঝিরঝিরে বৃষ্টি। এই দুইয়ের টান ইলিশ প্রজননের প্রতিকূল। সেই আবহেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়েছে বিপুল রূপোলী শস্য। বর্ষার সময় এই ইলিশ স্বাদু হবে বলেই মত মৎস্যজীবীদের।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন লাগোয়া কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, সাগর এবং রায়দিঘির প্রায় তিন হাজার ট্রলার গভীর সমুদ্রে ইলিশ ধরতে যায়।করনাকালে সমুদ্রে মাছ ধরার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে নামলেও, একের পর এক কোটাল এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে সমুদ্র উত্তাল হয়ে ওঠে। তার ফলে গত তিনটি ট্রিপে ইলিশ না পেয়ে কিছুটা ব্যর্থ হতে হয় মৎস্যজীবীদের।
নামখানা ঘাট থেকে সেই ইলিশ পৌঁছবে ডায়মন্ড হারবারের নগেন্দ্রবাজার মাছের আড়তে। সেখানে নিলামের পর মাছের রাজা পৌঁছবে রাজ্যের পাইকারি বাজারগুলিতে। যে ইলিশ সমুদ্র থেকে এসেছে তার ওজন ৫০০ গ্রাম থেকে এক কেজি। মরসুমের প্রথম ইলিশ হওয়ায় দাম একটু চড়া। রবিবার এই পাইকারি বাজারে ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ইলিশ প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ৬০০ থেকে ৮৫০ টাকায়। এছাড়া ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম পর্যন্ত ইলিশের দাম প্রতিকেজি প্রায় ৯৫০ টাকা।
কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, ‘‘পর পর কোটাল এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছিল। তার জেরে উত্তাল ঢেউয়ে জাল ফেলার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছিল। পর পর তিনটি ট্রলার দুর্ঘটনায় পড়ে। গভীর সমুদ্র থেকে আজ সকালে ১৫টি ট্রলার ইলিশ নিয়ে নামখানা ঘাটে ঢুকেছে। প্রতিটিতেই প্রায় ৪০০ কেজি করে ইলিশ আছে। আশা করছি, এ বার ভাল ইলিশ মিলবে।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন